সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিপিআই ছেড়ে এবার কংগ্রেসের পথে জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar)। বেশ কিছুদিন ধরেই রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে সেই জল্পনা আরও উসকে দিলেন কানহাইয়া। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই লালঝান্ডা ছেড়ে কংগ্রেসের তিরঙ্গা ধরবেন তরুণ ‘বামপন্থী’ নেতা। কানহাইয়ার এই কংগ্রেসে (Congress) যোগদানের নেপথ্যে নাকি রয়েছেন রাজনৈতিক কৌশলী প্রশান্ত কিশোর।
জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি থাকাকালীন প্রথম সংবাদ শিরোনামে আসেন কানহাইয়া। ছাত্রজীবন শেষে তিনি যোগ দেন কমিউনিস্ট পার্টিতে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিহারের বেগুসরাই থেকে সিপিআই প্রতীকে প্রার্থীও হন তিনি। তবে, তেমন সুবিধা করে উঠতে পারেননি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের (Girirraj Singh) কাছে বিরাট ব্যবধানে পরাজিত হন। তারপরও অবশ্য বিহার এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বামপন্থীরা তাঁকে তারকা প্রচারক হিসাবে ব্যবহার করেছে। সিপিআইয়ের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গাও পেয়েছেন তিনি। তবে, সম্প্রতি দলের সঙ্গে তাঁর দুরত্ব বেড়েছিল। সিনিয়র নেতাদের কেউ কেউ নাকি কানহাইয়ার আচরণ এবং কাজের পদ্ধতিতে খুশি নন। কিছুদিন আগে ‘উদ্ধত’ আচরণের জন্য দল তাঁকে সতর্কও করে। তারপর থেকেই দূরত্ব বাড়ছিল।
[আরও পড়ুন: ওয়েইসি আসলে বিজেপির ‘চাচাজান’! উত্তরপ্রদেশ ভোটের আগে বিস্ফোরক কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত]
কিছুদিন আগে নাকি রাজনৈতিক কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) সৌজন্যেই কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে কথা শুরু হয় কানহাইয়ার। যুব নেতার ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, তিনি মনে করছেন এই মুহূর্তে বিজেপিকে হারাতে কংগ্রেসের বিকল্প নেই। সম্ভবত সেকারণেই কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন তিনি। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সঙ্গে দেখা করে কথাবার্তা একপ্রকার চূড়ান্তও করে ফেলেছেন। কংগ্রেস আসন্ন পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন এবং আগামী লোকসভা নির্বাচনে কানহাইয়াকে ব্যবহার করবে তারকা প্রচারক হিসাবে।
[আরও পড়ুন: টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের প্রভাবশালীদের তালিকায় প্রথম একশোয় মোদির সঙ্গে মমতাও]
কানহাইয়া একা নন, গুজরাটের দলিতে নেতা জিগনেশ মেবানিও (Jignesh Mebani) নাকি এবার সরকারিভাবে কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। গুজরাটের গত বিধানসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে বিধায়ক নির্বাচিত হন জিগনেশ। সেসময় কংগ্রেস তাঁকে সমর্থন করেছিল। এবার সরাসরিই দলে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। তাঁর সঙ্গেও নাকি কংগ্রেস নেতৃত্বের কথাবার্তা পাকা।