সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেছে বেছে মহিলাদের কলেজেই প্রচার করছেন কংগ্রেস (Congress) সাংসদ তথা প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কিন্তু তিনি অবিবাহিত। তাঁর সামনে ছাত্রীদের এভাবে ঝুঁকে পড়া একদমই ঠিক কাজ নয়। এমনকী রাহুল গান্ধীর কাছে যাওয়াও উচিত নয় ছাত্রীদের। সম্প্রতি কেরলে ভোট প্রচারে এমনই মন্তব্য করেছিলেন সেখানকার প্রাক্তন সাংসদ জয়েশ জর্জ। আর তাঁর এই মন্তব্য সামনে আসতেই দেশজু়ড়ে তীব্র বিতর্কের ঝড় ওঠে। জর্জের গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব হন বিরোধীরা। এমনকী কেরল (Kerala) সিপিএম তাঁর মন্তব্যের দায়ভার নিতেও অস্বীকার করে দেয়। শেষপর্যন্ত তীব্র বিতর্কের মাঝেই ফেসবুকে পোস্ট করে এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চাইলেন জয়েশ জর্জ। বিনা শর্তে নিজের মন্তব্য প্রত্যাহারের কথাও জানালেন।
ইদুক্কিতে রাজ্যের মন্ত্রী এমএম মানির সমর্থনে প্রচারে এসে সোমবার রাহুল প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্যটি করে বসেন জর্জ। সম্প্রতি কোচির (Kochi) সেন্ট টেরেজা কলেজে গিয়ে ছাত্রীদের আইকিডো শিখিয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। সেই ব্যাপারেই জর্জের মন্তব্য, “রাহুল গান্ধীর অনুষ্ঠান কেবল মহিলাদের কলেজেই আয়োজিত হয়। তিনি ওখানে যান এবং ছাত্রীদের শেখান কীভাবে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হয়? কীভাবে ঝুঁকতে হয়। ছাত্রীদের একদমই রাহুলের সন্নিকটে গিয়ে এই ধরনের কাজ করা উচিত নয়। কারণ রাহুল অবিবাহিত।”
[আরও পড়ুন: কার্তি চিদাম্বরমের স্ত্রীর নাচের ভিডিও পোস্ট করে ভোট প্রচার বিজেপির! তীব্র কটাক্ষ কংগ্রেসের]
এরপরই তাঁর বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করা হয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। জর্জের গ্রেপ্তারির দাবিও তোলেন তাঁরা। উলটোদিকে, কেরল সিপিএম স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, দলের সঙ্গে তাঁর এই বক্তব্যের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে এই বিতর্কের মাঝেই বুধবার শেষপর্যন্ত ক্ষমা চাইলেন জয়েশ জর্জ। নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি লেখেন, “আমার ওই মন্তব্যের জন্য নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাইছি এবং নিজের বক্তব্য ফিরিয়ে নিচ্ছি। এই ধরনের মন্তব্য আমার করা উচিত হয়নি। জনসমক্ষে বা ব্যক্তিগত আলোচনায় কখনওই এই ধরনের মন্তব্য করা ঠিক নয়।”