অর্ণব আইচ: আবারও খারিজ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আরজি। ফের জেল হেফাজতে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। এদিন আলিপুর আদালতে পেশের সময় রাজ্যপালের ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে মুখ খোলেন পার্থ। বলেন, ”মাথার উপরে সরকার আছে। সরকার বুঝবে।”
[আরও পড়ুন: বিবস্ত্র করে হস্টেলে ‘ব়্যাগিং’, যাদবপুর কাণ্ডে পকসো আইনে মামলা কলকাতা পুলিশের]
এদিকে, জামিন মামলার শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আগে জামিনের আবেদন করেছিলাম। SSC আইন ও পদ্ধতি নিয়ে বলেছিলাম। বাগ কমিটির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে FIR হয়েছে। কিন্তু ওই রিপোর্টে কোথাও পার্থবাবুর নাম নেই। উনি সোজা হয়ে হাঁটতে পারেন না। উনি জামিন পেলে তদন্তে কোথায় সমস্যা? স্বাস্থ্যর কথা জানিয়ে জামিন চাইছেন।” কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়দের অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি প্রসঙ্গেও সওয়াল করেন পার্থ। বলেন, ”স্যার এখানে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলে নয়, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বয়স বাড়ানোর। যাদের অবসরের বয়স ৬০ ছিল, তাঁদের ৬৫ করা হয়েছিল। যাঁরা অধ্যাপক ছিলেন তাঁদের ৬৫ বছর বয়স বাড়িয়ে ৭০ করা হয়। যদি নির্দিষ্ট কারও হয়, তাহলে সেটাকে এক্সটেনশন বলে। স্যার এটা কোনও এক্সটেনশন নয়। রাজ্যপাল অনুমোদন দিয়েছিলেন।”
প্রথম থেকেই জামিনের আরজি খারিজের আবেদন জানান সিবিআই আইনজীবী। বলেন, “অসুস্থতা, বয়স, দীর্ঘ দিন হেফাজতে থাকা, বিচার শুরু না হওয়ার কথা বলে জামিন চাওয়া হয়েছে। এটা সেই মামলা যেখানে যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে।” সওয়াল জবাব শেষে বিচারক বলেন, ”আপনারা ইকুয়ালিটির কথা বলছেন। তাহলে সিবিআই কী চিহ্নিত করতে পেরেছে সব অযোগ্যদের? কয়েকজনের নাম চার্জশিটে এসেছে। বাকিরা কোথায়?” সিবিআইকে ভর্ৎসনা করলেও শেষ পর্যন্ত জামিনের আরজি খারিজ করে দেন বিচারক। এখনও জেলেই থাকতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।