মণিশংকর চৌধুরি, গুয়াহাটি: অসমে নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হয়েছে সোমবার৷ ওই খসড়ায় নাম নেই প্রায় ৪০ লক্ষ নাগরিকের৷ ওই তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদের ভাইয়ের পরিবারেরও৷ অবাক করা এই তথ্য সামনে আসার পর থেকে মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক৷ একজন রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যদের নাম কীভাবে নাগরিকপঞ্জির খসড়া থেকে বাদ গেল, উঠছে প্রশ্ন৷
[পরাধীন ভারতে স্কুল তৈরি পূর্বসূরির, স্বাধীন দেশে ঠাঁই নেই গোটা পরিবারের]
প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদের ভাই একরামুদ্দিন আলি আহমেদও মারা গিয়েছেন৷ অসমের কামরূপ জেলার রঙ্গিয়ার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা ছিলেন প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির ভাই একরামুদ্দিন৷ সদ্য প্রকাশিত নাগরিকপঞ্জির খসড়ায় নাম নেই একরামুদ্দিনের ছেলে জিয়ামুদ্দিন-সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের৷ জিয়ামুদ্দিন বলেন, ‘‘প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির ভাইপো হওয়া সত্ত্বেও নাগরিকপঞ্জির খসড়ায় নাম নেই আমার৷ নাম নেই আমার বাবারও৷ এ বিষয়ে আমরা সত্যিই চিন্তিত৷’’ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির পরিজনদের নামই যদি বাদ যায়, তবে নাগরিকপঞ্জির খসড়ার স্বচ্ছতা নিয়েও সন্দেহপ্রকাশ করেন তিনি৷
[বিজেপির টার্গেটে সংখ্যালঘুরাই, অসম ইস্যুতে মমতার সুরেই সুর মেলালেন মায়াবতী]
নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত খসড়ায় প্রকাশিত তথ্যের স্বচ্ছতা নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠেছে৷ খসড়ার নেপথ্যে রাজনীতির রঙ দেখেছেন বিভিন্ন দলের নেতামন্ত্রীরা৷ এরপরই সামনে এসেছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির ভাইয়ের পরিবারের ওই তালিকায় নাম না থাকার চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ এই তথ্য সামনে আসতেই নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক৷ কীভাবে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির পরিজনরাই নাগরিকত্বের চূড়ান্ত খসড়া থেকে বাদ গেলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷ আর এই তথ্য সামনে আসার পরই নাগরিকপঞ্জির খসড়ার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে৷
[‘নাগরিকপঞ্জির ভাবনা আমাদের’, কৃতিত্ব দাবি তরুণ গগৈয়ের]
যদিও অযথা আতঙ্কিত না হওয়ারই বার্তা দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল৷ যাঁরা প্রকৃত নাগরিক, কোনওভাবেই তাঁদের নাম নাগরিকপঞ্জির খসড়া থেকে বাদ যেতে পারে না বলে জানান তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবির পরেও কীভাবে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির ভাইয়ের পরিবারের নাম খসড়া থেকে বাদ যায়, এ প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই৷
The post নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির ভাইয়ের পরিবারের নাম, তুঙ্গে বিতর্ক appeared first on Sangbad Pratidin.