সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আয় বহির্ভূত সম্পত্তি থাকার অভিযোগে পাঞ্জাবের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী ও পি সোনিকে গ্রেপ্তার করেছে পাঞ্জাব ভিজিল্যান্স ব্যুরো। জানা গিয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে সোনির বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়। কিন্তু সেই সম্পত্তির কোনও হিসাব মেলেনি। এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে কংগ্রেস এবং আপের মধ্যে। আপের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস (Congress)। যদিও পাঞ্জাবের আপ (AAP) নেতৃত্ব গোটা বিষয়টিকে রাজ্যে দুর্নীতি দমন করার লক্ষ্যে একটি পদক্ষেপ হিসাবেই দেখছে।
কিছুদিন আগেই পাঞ্জাবের (Punjab) মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান রাজ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানের ঘোষণা করেন। এরপরই সোনির গ্রেপ্তারি। হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে সোনির গ্রেফতারের পরই জল্পনা শুরু হয়েছে যে, আরও নেতা-মন্ত্রীর নাম একে একে উঠে আসতে পারে তদন্তে। তদন্তে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চের ভিতরে সোনি ও তাঁর পরিবারের সম্পত্তির পরিমাণ ৪.৫২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১২.৪৮ কোটি টাকায়। সোনি তাঁর স্ত্রী ও ছেলের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কেনেন। ৬ বছরের মধ্যেই প্রায় ১৭৬.০৮ শতাংশ আয় বৃদ্ধি হলেও তার উৎস কী ছিল, তা জানাতে পারেননি সোনি।
এর আগেও একাধিকবার ও পি সোনিকে তলব করা হয়েছিল ভিজিল্যান্স ব্যুরোর তরফে। তিনি হাজিরাও দিয়েছিলেন এবং যাবতীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন। যদিও শেষ অবধি সেই হিসাব তিনি দেননি। তবে সোনির গ্রেপ্তারির ঘটনায় আপ এবং কংগ্রেসের মধ্যে রাজনৈতিক দূরত্ব আরও বাড়ল বলেই মনে করছেন অনেকে। উল্লেখ্য, কংগ্রেস এবং আপের মধ্যে দূরত্ব নতুন নয়। গত ২৩ জুন পাটনায় বিরোধীদের বৈঠকেও এই দূরত্বের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। দিল্লির অর্ডিন্যান্স বিতর্কে কংগ্রেসের সমর্থন চেয়ে তদ্বির করা হলেও হাত শিবিরের তরফে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে কেজরিওয়ালদের অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: খবর পড়ছেন সুন্দরী সঞ্চালিকা! AI-এর ব্যবহারে চমক ওড়িশার টিভি চ্যানেলের]
পাটনা থেকে ১৬টি বিজেপি বিরোধী দল একসঙ্গে চলার বার্তা দিলেও বৈঠক শেষে হওয়া সাংবাদিক বৈঠকে কেজরিওয়াল ছিলেন না। অর্ডিন্যান্স নিয়ে মতপার্থক্যের কারণেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক ছেড়েছেন, এমন জল্পনা যখন তুঙ্গে, তখন বৈঠকের মূল উদ্যোক্তা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানান, বিমান ধরার কারণেই তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গিয়েছেন কেজরিওয়াল। আবার কিছু দিন আগেই দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস এই মর্মে একটি প্রস্তাব পাশ করায় যে, কেন্দ্রের বিজেপি এবং দিল্লির আপ সরকারের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এক হয়ে লড়বে কংগ্রেস।