সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট আবহে তপ্ত উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। সেরাজ্যে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) ও অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। ভোট যত এগিয়ে আসছে তত একে অপরের বিরুদ্ধ তোপ দাগছেন বিজেপি ও সমাজবাদী পার্টির দুই শীর্ষ নেতা। কিন্তু তাঁর কাছে অখিলেশ যা, যোগীও তাই। মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। ফলে তিনি যেমন একদিকে যোগীর বিরুদ্ধে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে চলেছেন, তেমনই নিজের সীমিত সাধ্যে প্রচার চালাচ্ছেন অখিলেশের বিরুদ্ধেও। তিনি কে?
বিজয় সিং (Vijay Singh)। উত্তরপ্রদেশে প্রতিবাদের পরিচিত মুখ। রাজ্যে ন্যায় শাসনের জন্যে, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের দাবিতে গত ২৬ বছর ধরে ধরনা আন্দোলন করছেন এই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। বিজয় সিংয়ের মুজাফ্ফরনগরের ধরনা মঞ্চের কথা রাজ্যের সকলের জানা। মূলত পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধেই তাঁর আন্দোলন। বিজয়ের দাবি, এখানকার কয়েক হাজার একর জমি দখল করেছে জমি মাফিয়ারা। নেপথ্যে রয়েছে রাজনীতি।
[আরও পড়ুন: পুলিশ কর্মীকে খুনের বদলা, কাশ্মীরে এনকাউন্টারে নিকেশ ২ লস্কর জেহাদি]
প্রতিবাদে তিন দশক ধরে সরব বিজয় সিং। সেই সূত্রেই এবার যোগীর বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিজয় বলেন, “হ্যাঁ, আমি বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার কথা ঘোষণা করেছি। গোরক্ষপুরের আর্বান আসনে মনোনয়ন জমা দেবো।” শুক্রবারি যোগী আদিত্যনাথ গোরক্ষপুরের আর্বান আসনের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সেদিনই বিজয় বললেন, “উত্তরপ্রদেশে গত ২৬ বছরে যারাই ক্ষমতায় থাকুক, তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে, জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এই বিষয়ে মানুষকে জাগরুক করতেই আমাকে ভোটে দাঁড়াতে হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: দেশবাসীকে সরস্বতী পুজোর শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর, কবিতায় বাগদেবীর বন্দনা মুখ্যমন্ত্রীর]
বিজয় আরও বলেন, “আমি ঠিক করেছি যে পাঁচ রাজ্যে ভোট, সবখানে সবচেয়ে কম খরচায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। দুর্নীতি দমনে রাজনৈতিক দল ও সরকারগুলি যে কিছুই করেনি, সেই বিষয়ে প্রচারপত্র বিতরণ করব সাধারণ মানুষের মধ্যে।”
নয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে সরব বিজয় সিং। ১৯৯৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ধরনা মঞ্চ গড়ে আন্দোলন চালাচ্ছেন। এই বিষয়ে প্রশাসনকে, এমনকি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও চিঠি দিয়েছেন এই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। যদিও আজ অবধি দুর্নীতি দমনে ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। সেই কারণেই ভোটে দাঁড়াতে বাধ্য হলেন তিনি। বলছেন উত্তরপ্রদেশের প্রতিবাদের মুখ।