রঞ্জন মহাপাত্র কাঁথি: এবার আক্ষরিক অর্থেই দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছে সরকার। কারণ এবার বাড়িতে-বাড়িতে বিলি করা হবে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র ((Laxmir Bhandar) ফর্ম। এমনই উদ্যোগ নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর প্রশাসন। আশাকর্মীদের উপর এই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার আগেই পরিবারের মহিলাদের মাসিক হাতখরচ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। ক্ষমতায় ফিরেই সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন তিনি। ১৬ আগস্ট থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে সরকারে’র দ্বিতীয় পর্ব। আর সেখান থেকেই বিলি হচ্ছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র ফর্ম। আর এই ফর্ম সংগ্রহ করতে ব্লকে ব্লকে লম্বা লাইন পড়ছে। বিক্ষিপ্ত কয়েকটি এলাকা থেকে ভিড়ের ফলে অনভিপ্রেত কিছু ঘটনার খবরও আসছে। পূর্ব মেদিনীপুরে সেই পরিস্থিতি এড়াতে তৈরি প্রশাসন। লাইন দিয়ে নয়, প্রয়োজনে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে এই প্রকল্পের ফর্ম। এমনটাই জানিয়েছেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। বেশকিছু ব্লকে ইতিমধ্যে এই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও খবর।
[আরও পড়ুন: Visva Bharati: ছাত্র আন্দোলনে অশান্ত বিশ্বভারতী, একটানা প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ঘেরাও উপাচার্য]
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) ২৫টি ব্লকে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র ফর্ম। এই কাজ করবেন আশা কর্মীরা। তাঁরা যাতে সুষ্ঠুভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে আশাকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন বিডিওরা। এ প্রসঙ্গে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানান, “মহিলাদের হয়রানি রুখতে এই পদক্ষেপ করা হবে। ইতিমধ্যে আশাকর্মীদের প্রশিক্ষণ পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। দ্রুত বাড়িতে বাড়িতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম পৌঁছে দেওয়া হবে।” তাঁর এহেন উদ্যোগে খুশি জেলার মহিলারা। তবে জেলাশাসকের এই পদক্ষেপ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছেই।
প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে জালিয়াতি রুখতে আগেই সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফর্ম যাতে নকল না হয় তার জন্য ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। কোনও ধরনের সমস্যা থাকলে সেই অভিযোগ জানানোর জন্য নির্দিষ্ট হেল্পলাইন রয়েছে।