সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফেব্রুয়ারির শুরুতেই সংসদে পেশ করা সাধারণ বাজেটে দেশের দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক বেসরকারিকরণের কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। বাজেট অধিবেশন শেষ হওয়ার আগেই সেই প্রক্রিয়ায় নেমে পড়েছে কেন্দ্র। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, বেসরকারিকরণের জন্য আপাতত চারটি মাঝারি মাপের ব্যাংককে বেছে নিয়েছে মোদি (Narendra Modi) সরকার। তাদের দাবি, তিনটি সরকারি সূত্র এই প্রক্রিয়ার কথা স্বীকার করেছে। যে চারটি ব্যাংককে বেসরকারিকরণের জন্য প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়েছে সেগুলি হল ব্যাংক অফ মহারাষ্ট্র (Bank of Maharashtra), ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (Bank of India), ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংক এবং সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (Central Bank of India)। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিক এই খবর জানিয়েছেন বলে দাবি সংবাদসংস্থার। এই চার ব্যাংকের মধ্যে যে দু’টিকে চূড়ান্তভাবে বেছে নেওয়া হবে, সেগুলির ২০২১-২২ আর্থিক বছরেই বেসরকারিকরণ হবে।
[আরও পড়ুন: বাংলায় DYFI নেতার মৃত্যুতে ক্ষোভের আঁচ জেএনইউতেও, পুড়ল মমতার কুশপুতুল]
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক বেসরকারিকরণে বাজেটে প্রস্তাবের পরই বিরোধীরা তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলা হয়েছে, সরকারি কোষাগার ভরতে সম্পত্তি বেচে দেওয়া হচ্ছে। তবে কেন্দ্রের বক্তব্য, সংস্থাগুলিকে আরও বেশি কার্যকর করার লক্ষ্যেই এই ব্যবস্থা। কেন্দ্রের উপর চাপ রয়েছে ব্যাংক কর্মচারী সংগঠনগুলিরও। কারণ, তাদের দাবি, সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে লক্ষ লক্ষ ব্যাংক কর্মচারীর ভবিষ্যতের উপর। সরকার জল মাপতে বেসরকারিকরণের জন্য প্রাথমিকভাবে ছোট বা মাঝারি মাপের ব্যাংককে বেছে নিচ্ছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
আগামী কয়েকবছরে বেসরকারিকরণের জন্য কিছু বড় ব্যাংককেও বাছা হতে পারে। তবে দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার বেশিরভাগ শেয়ার সরকার নিজের হাতেই রাখবে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে শুরুতেই চারটি ব্যাংকের বেসরকারিকরণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তবে বিশেষজ্ঞরা ব্যাংক কর্মচারী সংগঠনগুলির থেকে প্রবল বাধার আশঙ্কা করে ধাপে ধাপে বেসরকারিকরণের পথে হাঁটার কথা বলেছে।
[আরও পড়ুন: এবার করোনা যোদ্ধার মর্যাদা পাবেন ভোটকর্মীরাও, নির্বাচনের আগেই পাবেন টিকা]
এদিকে, একাধিক ব্যাংকের সংযুক্তিকরণের ফলে ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ গ্রাহকদের। সংযুক্তিকরণের ফলে বহু শাখায় গ্রাহকের সংখ্যা হঠাৎ অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। যার জেরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কর্মীদের।