সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মাঝেই জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) সন্ত্রাসবাদী হামলা। প্রাণ হারালেন এক অফিসার-সহ মোট পাঁচ সেনা জওয়ান। আর এই ঘটনাকে ঘিরেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল কাশ্মীর উপত্যকা।
সোমবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল সেনা। তখনই সেনাবাহিনীর দিকে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেন জওয়ানরাও। শুরু হয় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, গুলির লড়াইয়ে জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারান মোট পাঁচ জন সেনা জওয়ান। শহিদ জওয়ানদের মধ্যে একজন জুনিয়র কমিশনড অফিসারও রয়েছেন। তবে তাঁদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। শেষ পাওয়া খবরে, গুলির লড়াই এখনও চলছে। এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। কোনওভাবেই যাতে জঙ্গিরা পালিয়ে না যায়, সেদিকে নজর রেখেছে ভারতীয় সেনা।
[আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাত্রীকে লাগাতার ধর্ষণ! উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার মাদ্রাসা শিক্ষক]
সম্প্রতি স্কুলে জঙ্গিহানার পর থেকেই অশান্ত কাশ্মীর। টার্গেট কিলিংয়ের জেরে কার্যত দলে দলে সংখ্যালঘুরা উপত্যকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বলেই খবর। সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, আতঙ্কের রেশ প্রবল। কাশ্মীরে শিক্ষক-মৃত্যুর ঘটনায় ১৬টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে এনআইএ। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে নিরাপত্তাবাহিনীও পাকড়াও করেছে বেশ কয়েকজনকে। জানা গিয়েছে, প্রায় ৯০০ জনকে আটক করেছে তারা। এই ৯০০ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় রয়েছেন যুবকরা। কাশ্মীরের ডিআইজি দিলবাগ সিং আগেই জানিয়েছিলেন যে, কাশ্মীরে বিভেদ সৃষ্টি করতে নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষকে লক্ষ্য করে হত্যার স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি।
এই অবস্থায়, উপত্যকায় বড়সড় তল্লাশি অভিযান জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ)। জোড়া মামলায় কাশ্মীরের প্রায় ১৬টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ। আইএস-এর ভারতীয় মুখপত্র হিসাবে পরিচিত ‘ভয়েজ অব হিন্দ’-এর তথ্য জানতে এবং সাম্প্রতিককালে উপত্যকায় সাধারণের উপর জঙ্গি হামলায় অভিযুক্ত দ্য রেজিসট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)-এর সদস্যদের বাড়িতেও তল্লাশি চালান এনআইএ-র গোয়েন্দারা। এরই মধ্যে সাম্প্রতিক সাধারণ মানুষের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ ৭০০ জনকে আটক করেছে। তার মধ্যে অনেকেই যুবক। জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর ভারতীয় মুখপত্র ‘ভয়েজ অব হিন্দ’। ২০২০-র ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই জঙ্গি সংগঠনটি মাসিক অনলাইন পত্রিকাটি প্রকাশ করছে। কাশ্মীর উপত্যকায় যুবকদের আরও বেশি করে ধর্মীয় মৌলবাদী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ার নেপথ্যে ওই পত্রিকার প্রবল প্রভাব দেখছেন গোয়েন্দারা। সেই সূত্রেই শ্রীনগর, অনন্তনাগ, বারামুলা, কুলগামের বিভিন্ন ঠিকানায় অভিযান চালায় এনআইএ।