অর্ণব আইচ: আদালতের নির্দেশে জেল হেফাজতে যাওয়া চারজন শিক্ষক চাকরির জন্য ‘ঘুষ’ দিয়েছিলেন ২২ লক্ষ টাকা। কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল ও নীলাদ্রি ঘোষের বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিটে উঠে এসেছে এই তথ্য।
এখনও পর্যন্ত ৫০ জনের উপর চাকরিপ্রার্থীর সন্ধান পেয়েছে সিবিআই (CBI), যাঁরা প্রাথমিক শিক্ষকের পদ পাওয়ার জন্য গড়ে ৫ লাখ থেকে ৬ লাখ টাকা করে দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যেই অনেকেই তাপস মণ্ডলের ডিএলএড কলেজের ছাত্রছাত্রী। তাপস মণ্ডলের মাধ্যমে ওই টাকা পেয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। কুন্তলের মাধ্যমে ওই টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অন্য প্রভাবশালীদের কাছে গিয়েছিল বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের।
[আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে ছুটি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের, আগামী একমাস বাড়িতেই থাকবেন পর্যবেক্ষণে]
চার্জশিট অনুযায়ী, ২০১৬ থেকে ২০২২ পর্যন্ত তাপস মণ্ডল মোট ৪ কোটি ১২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা ১৪১ জন চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে তোলেন। এর মধ্যে আটজন এজেন্টের কাছ থেকে তোলা হয় ৩ কোটি ৮৯ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা। নিজের ডিএলএড কলেজের ছাত্র হিসাবে মুর্শিদাবাদের জহিরউদ্দিন শেখ ও সৌগত মণ্ডলের কাছ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা করে তোলা হয়। সাইগর হোসেনের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা ও তাঁর ভাই সিমর হোসেনের কাছ থেকে তোলা হয় ৫ লাখ টাকা। এই চারজনই মুর্শিদাবাদের প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের চাকরি পান।
এ ছাড়াও তাপস নিজে আসিক নামে আরও একজনের কাছ থেকে নেন এক লাখ টাকা। আবার কুন্তল ঘোষ তিন এজেন্টের মাধ্যমে ৭১ জন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে মোট ৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা তোলেন বলে দাবি করেছে সিবিআই।