মাসুদ আহমেদ: ফের গুলির লড়াইয়ে কেঁপে উঠল জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu & Kashmir)। বুধবার সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে নিকেশ হয়েছে চার জঙ্গি। সংঘর্ষস্থলে আরও বেশ কয়েকজন জেহাদি লুকিয়ে রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
[আরও পড়ুন: স্বস্তি ফিরল করোনা পরিসংখ্যানে, দেশে দৈনিক আক্রান্ত এবং অ্যাকটিভ কেস দুটোই কমল]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এদিন সকালে সন্ত্রাস জর্জরিত দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় জঙ্গিদের একটি ডেরার সন্ধান পান নিরাপত্তারক্ষীরা। তারপরই দ্রুত অভিযানের নকশা তৈরি করে ফেলা হয়। সন্ত্রাসবাদীদের আস্তানাটি ঘিরে ফেলে ভারতীয় সেনার রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, সিআরপিএফ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একটি যৌথ দল। জওয়ানদের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে গুলি চালাতে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। পালটা হামলা চালায় যৌথবাহিনী। বেশ কিছুক্ষণ সংঘর্ষের পর চার জঙ্গির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে দুই থেকে তিন জন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এপর্যন্ত নিহত জঙ্গিদের থেকে প্রচুর হাতিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে বলেও খবর।
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ হওয়ার পর থেকেই পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান শুরু করেছে সেনা। এপর্যন্ত সংঘর্ষে নিকেশ হয়েছে বুরহান ওয়ানি, রিয়াজ নাইকো-সহ প্রায় সমস্ত শীর্ষ জঙ্গিনেতারা। গত বৃহস্পতিবার শোপিয়ান জেলায় লস্কর-ই-তইবার তিন জঙ্গিকে খতম করে সেনাবাহিনী। কয়েকদিন আগেই বান্দিপোরার পুলিশ নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। সঙ্গে ছিল নিরাপত্তাবাহিনী। সেই অভিযানেই দুই যুবককে আটক করা হয়। জেরা করে জানা যায়, জইশ-ই-মহম্মদের (JeM) সদস্য ওই দুই যুবক। তাদের মগজধোলাই করে দলে টেনেছিল জইশের চাঁইরা। শুধু তাই নয়, নাশকতামূলক কার্যকলাপের জন্য তাদের হাতে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্রও তুলে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই কাশ্মীর নিয়ে এক বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রদূত আবিদা হুসেন। তিনি জানিয়েছিলেন, কাশ্মীরে সন্ত্রাস ছড়াতে আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের থেকে নিয়মিত টাকা নিতেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।