সুব্রত বিশ্বাস: সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করল রানাঘাট আরপিএফ। বুধবার রাতে তাঁদের রানাঘাট স্টেশনের ইয়ার্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের থেকে প্রায় ৬০০ চাকরিপ্রার্থীর ডিগ্রির শংসাপত্র উদ্ধার করেছে রেল পুলিশ। জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন জেলার চাকরিপ্রার্থীদের টাকার বদলে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়েছিলেন ধৃতরা। সম্প্রতি তাঁদের নামে মুর্শিদাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তাঁরা।
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকদের নাম শান্তনু পাল ও অর্পণ মিত্র। তাঁরা নদিয়ার মাজদিয়ার বাসিন্দা। বুধবার রাতে অভিযুক্ত দুই যুবক ট্রলি নিয়ে রানাঘাট ইয়ার্ড চত্বরে ঘুর ছিলেন। খবর পেয়ে, আরপিএফের ইন্সপেক্টর মুকেশ পণ্ডিতের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। ধৃতরা দমদম থেকে দওফুলিয়া যাচ্ছিলেন বলে পুলিশকে জানায়। তবে সেই জন্য স্টেশন থেকে বেশ কিছুটা দূরে রেল ইয়ার্ডে কেন গিয়েছিলেন? জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সত্যি বেরিয়ে আসে। গ্রেপ্তার করা হয় তাঁদের।
[আরও পড়ুন: দুদিন নিখোঁজ থাকার পর বাড়ির পাশের জলাশয়ে উদ্ধার ব্যবসায়ীর দেহ, চাঞ্চল্য ক্যানিংয়ে]
রেল পুলিশ জানতে পারে, চলতি মাসের ২৯ তারিখ ধৃতদের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থানায় চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার পরই যুবকদের সঙ্গে থাকা ট্রলি ব্যাগে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেই ব্যাগ থেকে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান বিভিন্ন জেলার প্রায় ৬০০ পড়ুয়াদের উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতকের শংসাপত্র উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, থানায় অভিযোগ হওয়ার পর অভিযুক্তরা শংসাপত্রগুলি কোথাও ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। সেই জন্যই তুলনামূলক নির্জন জায়গা রেল ইয়ার্ডের দিকে গিয়েছিলেন তাঁরা।
বিষয়টি জানার পর রানাঘাট আরপিএফের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় জিয়াগঞ্জ থানার পুলিশের সঙ্গে। ধৃত শান্তনু পাল দাবি করেছেন তিনি পুলিশের প্রাথমিক পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়েছেন। ধৃতদের আজ বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হয়েছে।