সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘যত মত তত পথ’-এর অপব্যাখ্যা দেওয়া ইসকনের ব্রহ্মচারী এইচজি অমোঘ লীলা প্রভুজিকে প্রায়শ্চিত্ত করতে একমাসের জন্য মথুরায় পাঠানো হয়েছে। ইসকনের তরফে একথা জানানোর পরও বিতর্ক থামার নাম নেই। স্বামী বিবেকানন্দ ও রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের একাধিক বক্তব্যের যেভাবে সরাসরি বিরোধিতা করেছেন ওই ব্রহ্মচারী, তাতে বহু ভক্ত, ব্রহ্মচারী, গেরুয়াধারীরও ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও উঠেছে।
কে এই অমোঘ লীলা দাস?
সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত জনপ্রিয় এই ব্রহ্মচারী। তাঁর নানা মোটিভেশনাল ভিডিও অনেক সময়ই ট্রেন্ডিং থাকে। এহেন জনপ্রিয় এই ব্রহ্মচারী একদা ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কর্পোরেট বিশ্ব ছেড়ে ঈশ্বরের সন্ধানে যোগ দেন ইসকনে।
ইন্টারনেট ঘাঁটলে অবশ্য অমোঘ লীলা দাস সম্পর্কে লিখিত তথ্য খুব বেশি পাওয়া যাবে না। তবে তিনি নিজে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, একসময় এক মার্কিন সংস্থায় চাকরি করতেন ব্রহ্মচারী। পূর্বাশ্রমে তাঁর নাম ছিল আশিস অরোরা। লখনউয়ে এক ধার্মিক পরিবারে জন্ম তাঁর। ২০০০ সালে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করার পরই বাড়ি ছাড়েন। পরে অবশ্য বাড়ি ফেরেন তিনি। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি পাশ করেন।
২০০৪ সালে যোগ দেন এক মার্কিন বহুজাতিক সংস্থায়। প্রোজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করেন বেশ কয়েক বছর। এরপর ২০১০ সালে ২৯ বছর বয়সে ইসকনে যোগদান। নিজেই এমনটা দাবি করেছেন অমোঘ লীলা দাস। নিষিদ্ধ হওয়ার আগে দিল্লির দ্বারকায় ইসকন মন্দিরের সহ সভাপতির পদে ছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ইস্তফা দেবেন? সাংবাদিকের প্রশ্নে মেজাজ হারালেন ব্রিজভূষণ, ভাঙল মাইক! ভিডিও ভাইরাল]
কেন বিতর্ক তাঁকে নিয়ে ?
স্বামী বিবেকানন্দের ‘গীতা পাঠ অপেক্ষা ফুটবল খেলা ভাল’ বক্তব্যের অপব্যাখ্যার পাশাপাশি ঠাকুর রামকৃষ্ণের ‘যত মত তত পথ’ বক্তব্য নিয়ে বিদ্রুপ করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। তিনি বলেছিলেন “সব পথে অস্ট্রেলিয়া বা মায়াপুর যাওয়া যায়?” রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের কথা বলার সময় বিশ্রী অঙ্গভঙ্গিও করতে দেখা যায় এই হিন্দিভাষী ব্রহ্মচারীকে। এরপর থেকেই তাঁকে ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক।