সোমনাথ রায়: পহেলগাঁওয়ের ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় শোকে মুহ্যমান দেশ। পুলওয়ামার পর এত বড় সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেনি উপত্যকায়। আর এই পরিস্থিতিতে জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্সের ডাকা কাশ্মীর বন্ধে কার্যতই স্তব্ধ জনজীবন। বনধে সাড়া দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। বন্ধ দোকানপাট। ফাঁকা রাস্তাঘাট।
যে বর্বরোচিত ঘটনা ঘটেছে তাকে মেনে নিতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। কথা বলে বোঝা গেল, ঘুরে দাঁড়ানোর যে লড়াই শুরু হয়েছিল তা থমকে যাওয়ায় তাঁরা হতভম্ব। এভাবে নিরীহ পর্যটকদের মৃত্যু যেভাবে আতঙ্কের পরিবেশকে ফিরিয়ে আনছে, তাতে কাশ্মীর ফের অন্ধকারে ফিরে যেতে পারে এই আশঙ্কা সকলের। পর্যটন শিল্পই এখানকার মানুষের উপার্জনের প্রধান অবলম্বন। সাম্প্রতিক অতীতে খুব বড় কোনও জঙ্গি হামলা হয়নি উপত্যকায়। ফলত ধীরে ধীরে পর্যটকদের আনাগোনাও বেড়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরের ঘটনায় সরাসরি আক্রান্ত হয়েছেন পর্যটকরাই। এর ফলে পর্যটন শিল্পও যে বড়সড় ধাক্কা খেতে চলেছে তাতে নিশ্চিত তাঁরা। একদিকে এতজন মানুষের মৃত্যু, অন্যদিকে জঙ্গিদের বর্বরতায় রুটিরুজি হারানোর আশঙ্কা- এর জেরেই বনধে সাড়া দিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে এদিন শ্রীনগরের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই আপাতত রাখা রয়েছে হামলায় নিহত পর্যটকদের দেহ। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন শাহ। কান্নায় ভেঙে পড়া মানুষদের সান্ত্বনা দিতে দেখা যায় তাঁকে। মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা, মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা-সহ অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা। এদিকে পহেলগাঁওয়ের রিসর্টে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে এনআইএ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেখানকার পরিস্থিতি। উল্লেখ্য, বেসরকারি হিসাব বলছে, পহেলগাঁও হামলায় অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। এখনও বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
