সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না পেট্রল ও ডিজেলের দাম৷ বেপরোয়া ভাবে প্রায় প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে জ্বালানি যন্ত্রণা৷ শনিবার ১২ পয়সা বেড়ে রেকর্ড গড়ল জ্বালানি তেলের দাম৷ দেশের বাণিজ্যনগরীতে পেট্রলের দাম প্রায় ৯০ টাকা ছুঁইছুঁই৷ আজ, শহর কলকাতায় ডিজেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৭৫.৭২ টাকা৷ নতুন দাম অনুযায়ী দিল্লিতে পেট্রল লিটার প্রতি ৮২.৪৪ টাকা ও ডিজেল লিটার প্রতি ৭৩.৮৭ টাকায় বিক্রি চলছে৷ মুম্বইয়ে পেট্রল লিটার প্রতি ৮৯.৮০ টাকা ও ডিজেল লিটার প্রতি ৭৮.৪২ টাকায় দাঁড়িয়েছে৷ শুধু পেট্রল-ডিজেলই নয়, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দাম৷ পাশাপাশি, ডলারের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ পতন হয়েছে টাকার মূল্যে৷ ফলে, সংসার চালাতে গিয়ে কার্যত নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তদের৷ কবে এই দুর্ভোগের হাত থেকে মুক্তি মিলবে সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে৷
[ব্যর্থ করুণ আকুতি, বৃদ্ধা মায়ের কান্নাতেও মন গলল না জঙ্গিদের]
জ্বালানির এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ইতিমধ্যেই নিজেদের কাঁধ থেকে দায় ঝাড়তে শুরু করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার৷ তাঁদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারের অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাবই পড়েছে দেশীয় বাজারে৷ আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির জেরেই পেট্রল-ডিজেল মহার্ঘ বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় জ্বালানি মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান৷ যদিও সরকারের এই স্তুতিকে কোনওমতেই মানছেন না বিরোধীরা৷ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে যথেষ্ট চাপে রাখবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
[বিপর্যয় মোকাবিলায় নয়া উদ্যোগ রেলের, প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত গোটা গ্রামে]
যদিও, তেল আমদানি করতে বিপুল পরিমাণ ভরতুকি গুনতে হয় কেন্দ্রকে৷ অভিযোগ, জ্বালানি তেলের জন্য কেন্দ্র মোটা অঙ্কের ভরতুকি দিলেও পেট্রোপণ্যের উপর কর চাপিয়ে ঘুরপথে সেই অর্থ উসুল করার কাজ চলছে৷ ফলে, লাফিয়ে বাড়ছে তেলের দাম৷ যদিও, সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা ভেবে রাজ্য সরকারের তরফে এক টাকা তেলের দাম কমানোর ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু, তেলের দাম আকাশ ছুঁলেও কেন্দ্রের তরফে এখনও কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি৷ বিরোধীদের দাবি মেনে পেট্রোপণ্যকে জিএসটির মধ্যেও ঢোকানো হয়নি৷ ফলে, প্রতিদিনই কেন্দ্রের চাপানো করের বোঝা বইতে হচ্ছে আমজনতাকেই৷