সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে জোড়া তালি দিয়ে এনডিএ সরকার গঠন হলেও, তার আয়ু নিয়ে সন্ধিহান বিরোধী শিবির। তবে কুর্সি বদলের অঙ্ক কষার আগেই এবার বিরোধী শিবির থেকে উঠে এল প্রধানমন্ত্রীত্বের দাবি। আগামী ১ জুলাই জন্মদিন উত্তরপ্রদেশ রাজনীতির 'বাজিগর' অখিলেশ যাদবের। তার আগে সমাজবাদী পার্টির দপ্তরে পড়ল বিশাল হোর্ডিং। যেখানে অখিলেশের ছবির পাশে লেখা- 'দেশের ভাবী প্রধানমন্ত্রী।' এহেন হোর্ডিং ঘিরেই জাতীয় রাজনীতিতে শুরু হল জল্পনা। পাশাপাশি এই হোর্ডিং ‘ইন্ডিয়া’র অন্দরে টানাপড়েনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে সমাজবাদী পার্টি। রাজ্যের ৮০টি আসনের মধ্যে ৩৭টি আসনে জয় পেয়েছে টিম 'সাইকেল'। কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৬টি। আগামী ১ জুলাই অখিলেশের নেতৃত্বে রাজ্যে এই জয়ের সাফল্য উদযাপন করবেন দলের নেতা-কর্মীরা। ঘটনাচক্রে এই দিনই অখিলেশের জন্মদিন। আর সেই উপলক্ষে দলীয় দপ্তরের সামনে ঝোলানো হল বিশাল হোর্ডিং। যেখানে দেখা যাচ্ছে, অখিলেশের পিতা মুলায়ম সিং যাদব, স্ত্রী ডিম্পল যাদব-সহ আরও জনা তিনেক নেতার ছোট আকারের ছবি। তার পাশে বিশাল আকারে অখিলেশ। সেই সঙ্গে লেখা 'দেশের ভাবী প্রধানমন্ত্রী।' সপার কর্মসূচি উপলক্ষে এই হোর্ডিং লাগানো হলেও, হোর্ডিংয়ের বার্তা কিন্তু বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে নীতীশ, চন্দ্রবাবুদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপি সরকার গঠন করলেও এই সরকারের ভিত যথেষ্ট নড়বড়ে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এনডিএ সরকার যে পড়ে যেতে পারে এমন বার্তা ইতিমধ্যেই দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা। কারণ, মূলত নীতীশ, চন্দ্রবাবুর দলের সাংসদদের দৌলতেই মূলত দিল্লিতে গঠিত হয়েছে মোদির সরকার। জাতীয় রাজনীতিতে এই নেতাদের পালটি খাওয়ার ভুরিভুরি উদাহরণ রয়েছে।
[আরও পড়ুন: পায়ের বদলে যৌনাঙ্গে অস্ত্রোপচার! ডাক্তারের বিরুদ্ধে থানায় দিনমজুর পরিবার]
এহেন পরিস্থিতির মাঝেই অখিলেশকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়ে এই পোস্টার ঘিরে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে 'ইন্ডিয়া'র অন্দরে। সূত্রের খবর, কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে রাহুল গান্ধীর নাম সামনে আনার চেষ্টা হলেও একাধিক সহযোগী দল তাতে আপত্তি জানিয়েছিল। যদিও বর্তমানে বিরোধীদলনেতার আসনে বসেছেন রাহুল। এই অবস্থার সপার হোর্ডিং যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের পরিসর ছাড়িয়ে আগামী দিনে অখিলেশ যে জাতীয় রাজনীতিতে ‘বৃহত্তর ভূমিকা’ নিতে চলেছেন সে বার্তাও স্পষ্ট করে দিচ্ছে হোর্ডিং।