সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন (G20)। দিল্লিতে এখন সাজো সাজো রব। অতিথিদের সামনে ভারতীয় গণতন্ত্রের মাহাত্ম্য তুলে ধরতে দীর্ঘ ইতিহাস সংবলিত দু’টি পুস্তিকা ছাপানো হয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকারের তরফে। সেগুলি হল, ‘ভারত, দ্য মাদার অফ ডেমোক্র্যাসি’ এবং ‘ইলেকশনস ইন ইন্ডিয়া’।
এতে উঠে এসেছে ‘রামায়ণের গণতন্ত্রের’ কথা। লেখা হয়েছে, রাজা দশরথ তাঁর মন্ত্রীদের অনুমোদন নিয়েই রামকে উত্তরাধিকারী মনোনীত করেছিলেন। মহাভারতে শরশয্যা থেকে ভীষ্ম যে যুধিষ্ঠিরকে সুশাসনের পরামর্শ দিয়েছিলেন, আমজনতার কল্যাণের কথা বলেছিলেন, সেকথাও গণতন্ত্রের চেতনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বলে দাবি করা হয়েছে ওই পুস্তিকায়। পুস্তিকার পরের অংশে ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের আগমন। গৌতম বুদ্ধের উপদেশে গণতন্ত্রের দিশানির্দেশের কথা তুলে ধরে দাবি করা হয়েছে, প্রাচীন ভারতেও গণতন্ত্র সমাজের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল। স্বাধীন ভারতে বিভিন্ন নির্বাচনের বিপুল সংখ্যক নাগরিকের অংশগ্রহণের কথা রয়েছে পুস্তিকায়।
[আরও পড়ুন: দাঁড়িয়ে থাকা লরিতে ধাক্কা গাড়ির, ভয়াবহ দুর্ঘটনা তামিলনাড়ুতে, মৃত এক পরিবারেরই ৬ জন]
পুস্তিকায় ভারতকে ‘গণতন্ত্রের জননী’ বলে চিত্রিত করা হয়েছে। তার উপরে রয়েছে সিন্ধু সভ্যতার কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়ানো সেই পরিচিত নারীমূর্তির ছবি। এতে সিন্ধু সভ্যতা, রামায়ণ-মহাভারত, মৌর্য সম্রাট অশোক, ছত্রপতি শিবাজি এমনকী, মোগল সম্রাট আকবরও ঠাঁই পেয়েছেন। ওই পুস্তিকায় ঋগ্বেদের স্তোত্র রয়েছে। বেদ-সহ নানা পুরনো গ্রন্থে ব্যবহৃত সভা, সমিতি বা সংসদের মতো শব্দ কী ভাবে বর্তমানে ভারতীয় সংসদকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, তা মোট ১৬টি ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে।
এদিকে, সম্মেলনে যোগ দিতে আসা বিদেশি রাষ্ট্রনেতা ও অতিথিদের স্বাগত জানাতে ২৮ ফুট দীর্ঘ এক নটরাজের মূর্তি বসানো হচ্ছে ভারত মণ্ডপমে, যেখানে বৈঠক আয়োজিত হবে। চলছে একেবারে শেষ মুহূর্তের কাজ। মনে করা হচ্ছে, এটাই বিশ্বের দীর্ঘতম নটরাজ মূর্তি। সব মিলিয়ে ১৮ জন কর্মী কাজ করছেন নটরাজের মূর্তি স্থাপনের কাজে। নজর কাড়ছে ১৯ টনের অতিকায় মূর্তিটি। মূর্তিটির ভাস্কর তামিলনাড়ুর শিল্পী এস দেবসেনাথিপ্যাথি। আবার আইটিপিও-এর কমপ্লেক্সের ভিতরেও ঘুরন্ত একটি মঞ্চের উপরে সিন্ধু সভ্যতার প্রাচীন নারীমূর্তির প্রতিরূপ স্থাপন করা হয়েছে।