সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বই হামলার মূলচক্রী তাহাউর রানার প্রত্যর্পণের (Tahawwur Rana Extradition) পর ভাইরাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ১৪ বছরের পুরনো সোশাল মিডিয়া পোস্ট। ২০১১ সালের সেই পোস্ট নতুন করে ছড়িয়ে পড়তেই প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ তাঁর অনুগামীরা। নেটিজেনরা বলছেন, "মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়।"
আসলে ২০১১ সালে আমেরিকার এক আদালত মুম্বই হামলায় কার্যত 'ক্লিনচিট' দিয়ে দেয় রানাকে। যা প্রকাশ্যে আসার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী মোদি। টুইটারে (অধুনা এক্স) তিনি লেখেন, "আমেরিকা যেভাবে তাহাউর রানাকে 'নির্দোষ' বলে ঘোষণা করে দিল সেটা ভারতের সার্বভৌমত্বকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। এটা ভারতের বিদেশনীতির জন্য আরও একটা বড় ধাক্কা।" প্রধানমন্ত্রীর সেদিনের সেই টুইট রানার প্রত্যর্পণের পরই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সেই পোস্ট শেয়ার করে মোদির সমর্থকরা বলছেন, "এই না হলে রাষ্ট্রনায়ক।" কারও বক্তব্য, "প্রধানমন্ত্রী যা বলেন, তাই করেন।"
তাৎপর্যপূর্ণভাবে যে মার্কিন ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মোদি। দু'বছরের মধ্যেই সেই রায় খারিজ হয়ে যায়। ২০১৩ সালে তাকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দেয় আমেরিকার আদালত। ২০২০ সালে স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে তাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। এদিকে ভারত তাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই মামলা চলছিলই। ২০২৩ সালের ১৬ মে রানাকে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দেয় ক্যালিফোর্নিয়ার জেলা আদালত। তারপর আরও বেশ কিছু জায়গাতেও আবেদন জানায় রানা। শেষ পর্যন্ত মার্কিন সুপ্রিম কোর্টেও রানা আবেদন করে। কিন্তু কোথাওই স্বস্তি মেলেনি তার। গত বছরের আগস্ট মাসে ওয়াশিংটনের ফেডারেল আদালত জানিয়ে দেয় রানা ভারতের কাছে প্রত্যর্পণযোগ্য। পালটা আবেদন করেছিল সে। কিন্তু কিছুই ধোপে টেকেনি। সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পরেই প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
কেন্দ্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিদেশনীতিরই সাফল্য রানার এই প্রত্যর্পণ। খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছেন, "যে সরকারের আমলে ওই হামলা হয়েছিল তারা কিন্তু ওকে দেশে ফেরাতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রীর বিদেশনীতির জন্যই ওই জঙ্গি ভারতের হাতে।" মোদির পুরনো টুইট ভাইরাল হওয়ার পর তাঁর অনুগামীরাও সেটাই বলছেন।
