সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণধর্ষণের (Gangrape) শিকার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) শাজাহানপুরের এক যুবতী অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন থানায়। কিন্তু সেখানেই ফের ধর্ষণের শিকার হতে হল তাঁকে! এমনই গুরুতর অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। তাঁর অভিযোগ, তদন্তের নামে আলাদা ঘরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেছে এক সাব ইন্সপেক্টর। মহিলার সঙ্গে দেখা করার পর সিনিয়র পুলিশ অফিসার অবিনাশ চন্দ্র তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
ঠিক কী হয়েছিল? গত ৩০ নভেম্বর জালালাবাদ থানা এলাকার মদনপুরের বাসিন্দা ৩৫ বছরের ওই যুবতী রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকাই সেখানে হাজির হয় একটি গাড়ি। গাড়ি থেকে পাঁচজন ব্যক্তি নেমে এসে তাঁকে টেনে পাশের খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে নির্যাতিতা ঘটনার অভিযোগ জানাতে যান জালালাবাদ থানায়। তখনই থানার এক সাব ইন্সপেক্টর তাঁকে আলাদা ঘরে যেতে বলে বিশদে আলোচনার জন্য। তারপর সেই ঘরেই সে ওই মহিলাকে ধর্ষণ (Rape) করে বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ইসলাম ছেড়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণের জের, আলিগড়ের যুবককে স্বপরিবারে খুনের হুমকি]
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন ওই মহিলা। জানিয়েছেন, এফআইআর দায়ের করতে ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি অবিনাশ চন্দ্রের সঙ্গে দেখা করেন গত বুধবার। তাঁর কাছে সব শুনে ওই পুলিশ অফিসার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সার্কেল অফিসার ব্রহ্মপাল সিংয়ের উপরে রয়েছে তদন্তের দায়ভার। তিনি জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি মহিলার অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়, তারপরই এফআইআর দায়ের করা হবে।
প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল ক্রাইমস রেকর্ড ব্যুরোর হিসেবে নারী নির্যাতনে দেশের শীর্ষে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ। ২০১৬ সালের পর থেকে রাজ্যে এই ধরনের অপরাধের ঘটনা বেড়েছে ২০ শতাংশ। বারবার সেই রাজ্যে মেয়েদের উপরে নানা নিপীড়নের ছবি সামনে এসেছে। কিন্তু তাতেও শিক্ষা হয়নি প্রশাসনের। উলটে রক্ষক পুলিশের বিরুদ্ধে উঠছে নির্যাতনের অভিযোগ।