সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গার্ডেনরিচের (Garden Reach Case) গেমিং অ্যাপকাণ্ডে ধৃত আমির খানের আরও ২০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল কলকাতা পুলিশ। গ্রেপ্তারির পর জিজ্ঞাসাবাদ করে আমিরের দেড় হাজার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। সেইসব অ্যাকাউন্টের তথ্য যাচাই করেই মোট ২০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
প্রায় একশো কোটি টাকা বিটকয়েনে জমা করেছে গার্ডেনরিচের আমির খান। গ্রেপ্তার করার পর তাকে জেরা করে প্রাথমিকভাবে এই তথ্য পেয়েছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা (Lalbazar)। কলকাতা বা এই রাজ্য ছাড়াও মধ্য প্রাচ্য ও বাংলাদেশের বহু যুবক ও তরুণের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আমির খান (Amir Khan) ও তার সহযোগীরা প্রতারণা করেছে, অভিযোগ এমনই। আমিরকে জিজ্ঞাসাবাদের ফলে ধীরে ধীরে খুলছে এই মামলার জট। জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার আরও ২০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: স্ত্রীর চাকরি করতে চাওয়া কখনওই ক্রুরতা হতে পারে না, মন্তব্য বম্বে হাই কোর্টের]
গার্ডেনরিচের ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিও তদন্ত চালাচ্ছে। সপ্তাহ দু’য়েক আগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গার্ডেনরিচের সিজিআর রোডে ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ১৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা। তার বিরুদ্ধে থাকা পার্ক স্ট্রিট থানায় (Park Street Police Station) অভিযোগের ভিত্তিতে গাজিয়াবাদ থেকে লালবাজারের গোয়েন্দারা তাকে গ্রেপ্তার করেন। আমিরকে প্রাথমিক জেরার পর গোয়েন্দারা জেনেছেন যে, উদ্ধার হওয়া ১৭ কোটি টাকাও সে রেখেছিল ক্রিপটোকারেন্সিতে। বিটকয়েন ভাঙিয়েই সে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা রেখেছিল বাড়িতে। ওই টাকা পরিবহণ ব্যবসায়ে লগ্নি করার ছক ছিল বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ইপিএফে কি আর সুদ দিচ্ছে না কেন্দ্র? বিতর্কের মুখে কী জানাল অর্থ মন্ত্রক]
তাকে জেরায় উঠে আসছে মধ্য প্রাচের দুবাই ও কুয়েত যোগের তথ্য। গোয়েন্দাদের কাছে খবর, বিদেশে পড়াশোনা করেছিল সে। সেখান থেকেই গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার বিষয়টি সে জানতে পারে। মধ্য প্রাচ্যের ওই দুই দেশে তার কয়েকজন আত্মীয় আছেন। আমির নিজেও হাওলার কারবারের সঙ্গে জড়িত। সেই সূত্র ধরে প্রথম দিকে প্রতারণা ও জালিয়াতির বিপুল টাকা হাওলায় পাঠাত বিদেশে। কিন্তু ওই ব্যাপারে ইডির হাতে যে তথ্য আসছে, তা জানতে পেরেই ক্রমে আমির বিটকয়েনে লগ্নি করতে শুরু করে। পুলিশের (Kolkata Police) সূত্র জানিয়েছে, ১৪৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৫০ কোটি টাকার উপর লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে আমিরের বিরুদ্ধে। কিন্তু অন্তত একশো কোটি টাকা সে বিটকয়েনে পরিবর্তন করেছে। তার কয়েকজন নিকটাত্মীয়র মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে টাকা রাখে সে। সেই টাকাই প্রয়োজনমতো ভাঙিয়ে নিত।