অর্ণব দাস: নবনির্মিত সংসদ ভবনে স্মোক ক্যান (Smoke Can) নিয়ে হামলা। ছড়ায় চূড়ান্ত আতঙ্ক। বুধবারের এই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। সংসদ ভবনের ভিতরে এবং বাইরে হামলার কয়েক সেকেন্ডের ভিডিও দেখে ইতিমধ্যেই আঁতকে উঠেছেন দেশবাসী। আর সেদিন আতঙ্কের মাঝেও অকুতোভয় ছিলেন বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনিই এক হামলাকারীকে ধরে কুপোকাত করেন। সেদিন ঠিক কী কী ঘটনা ঘটেছিল, দিল্লি থেকে ফিরে অভিজ্ঞতার কথা জানালেন ‘দাবাং’ সাংসদ।
নতুন সংসদের নিম্নকক্ষে অর্জুন সিংয়ের সিট নম্বর ৩৪৯। তবে ঘটনার দিন তিনি সেই আসনে বসেননি। ৩৫৩ আসন ফাঁকা থাকায় সেখানে বসে ছিলেন তিনি। জিরো আওয়ার্সে (Zero Hours) যখন খগেন মুর্মু বলছিলেন, তখনই এক হামলাকারী দর্শক আসন থেকে নিচে লাফ দেয়। অর্জুন সিংয়ের কথায়, ”৩৫৩ আর ৩৪৫ নম্বর আসনের ঠিক উপরের দর্শক আসনে হামলাকারীরা বসেছিল। আমি কানে হেডফোন লাগিয়ে বক্তব্য শুনছিলাম। তখন ধুম করে আওয়াজ শুনি। তাকিয়ে দেখি, নিচে পড়ার পর এক হামলাকারী লাফ দিল। মনে হল সে রীতিমত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। তাকে ধরতে গেলে সে লাফিয়ে লাফিয়ে এগোতে শুরু করে। তার পর জুতো থেকে স্মোক ক্যান বার করে স্প্রে করে। তখন রাজস্থানের সাংসদ হনুমান বেনিওয়াল তাঁকে ধরে ফেলে। এরপরে আরও এক হামলাকারী আমার ৩৫৩ সিটের পিছন থেকে ‘তানাশাহি নেহি চলেগা’ স্লোগান দিতে দিতে এগোতে থাকে। তাকে যখন আমি ধরতে যাই তখন স্মোক ক্যান ফাটিয়ে দেয়।”
[আরও পড়ুন: আফগানিস্তান সিরিজেই ফিট হয়ে উঠবেন পন্থ! কিন্তু…, বড় সিদ্ধান্ত বিসিসিআইয়ের]
আচমকা স্মোক ক্যান ফাটানোর ধোঁয়ায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় লোকসভার অন্দরে। ছোটাছুটি শুরু করেন অনেক সাংসদ। যদিও বারাকপুরের ‘দাবাং’ সাংসদ তখন ভয় পাননি, বরং ফুল অ্যাকশন মুডে দ্বিতীয় হামলাকারীতে কুপোকাত করেন। সেই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে অর্জুন জানান, ”জীবনে কখনও কোনও পরিস্থিতিতে, কাউকে ভয় করিনি। দ্বিতীয় হামলাকারীকে আমি জাপটে ধরেই সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে ফেলি। তারপর রাগে কে কী করেছে সেটা তো সবারই জানা।”
[আরও পড়ুন: সংসদে হামলার প্রতিবাদ করায় নয়, অন্য কারণে সাসপেন্ড বিরোধী সাংসদরা, সাফাই বিড়লার]
সংসদে নিরাপত্তায় খামতি নিয়েও এদিন সরব হন তিনি। অর্জুন বলেন, ওটা স্মোক ক্যান না হয়ে আরডিএক্স (RDX) বা অ্যামোনিয়া গ্যাস হলে বড় ঘটনা ঘটে যেত। ১০-১২ জন সাংসদ এমনিতেই মারা যেতেন। একইসঙ্গে সাংসদের সংযোজন, জুতো ভিতরে কেটে স্মোক ক্যান নিয়ে এসেছিল। গণধোলাইয়ের পর পুলিশ, এজেন্সির লোকেরা ওদের ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় হাসতে হাসতে চলে গেল। এতে পরিষ্কার, ওরা প্রত্যেকেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
দেখুন ভিডিও: