সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দুর্ঘটনা দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় (DSP)। কাজ চলাকালীন আচমকা বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড (CO) গ্যাস লিক করায় অচৈতন্য হয়ে পড়লেন অন্তত ১০ জন। সকলকেই ভরতি করা হয়েছে ইস্পাত কারখানার হাসপাতালে। এঁদের মধ্যে একজনের অবস্থায় উদ্বেগজনক, খবর হাসপাতাল সূত্রে। যদিও আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কার্বন মনোক্সাইড নিঃসরণ বন্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন DSP’র জনসংযোগ আধিকারিক।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাত প্রায় ৯টা নাগাদ। ওই সময়ে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় কাজ করছিলেন ৫০ জন কর্মী। জানা গিয়েছে, আচমকাই ২ নম্বর ব্লাস্ট ফার্নেসের থেকে গ্যাস বেরতে শুরু করে। এ ধরনের চুল্লিতে সাধারণত একাধিক গ্যাসের সংমিশ্রণ থাকে। এই সংমিশ্রণে ৮৫ শতাংশই কার্বন মনোক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস। এই ঝাঁজালো গ্যাসের সংস্পর্শে এলে মানুষ নিমেষের মধ্যে চেতনা হারিয়ে ফেলে। শুক্রবার রাতে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানাতেও তেমনই ঘটেছে। ২ নং ফার্নেসের ওয়েস্ট ভালভ বিকল হয়ে গ্যাস লিক করতে শুরু করে। চুল্লির ভালভ মেরামত করতে গিয়ে একে একে অচৈতন্য হয়ে পড়েন ১০ জন শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধার করার পাশাপাশি দুর্ঘটনার খবর পাঠানো হয় দমকল বিভাগেও।
[আরও পড়ুন: প্রার্থী ঘোষণার আগেই মনোনয়ন পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতোর, শুরু বিতর্ক]
ইস্পাত কারখানায় পৌঁছে কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৪ দমকল কর্মীও। তাঁদের সকলকেই ভরতি করা হয় দুর্গাপুর হাসপাতালে। ১০ জনের মধ্যে মেঘনাদ মণ্ডল নামে এক স্থায়ী কর্মীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে।সতর্কতা অবলম্বন করে রাতভর মেরামতির কাজ চলে। চুল্লি থেকে গ্যাস নিঃসরণ বন্ধ হয় সকালের দিকে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। ডিএসপি-র জনসংযোগ আধিকারিক বেদবন্ধু রায় জানিয়েছেন, কেন এভাবে ফার্নেস দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি তৈরি করা হবে।