সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক-দু’বার নয়, এই নিয়ে তৃতীয়বার খুনের হুমকির মুখে প্রাক্তন ক্রিকেটার ও বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর। রবিবার ‘ISIS Kashmir’-এর তরফে হুমকি চিঠি পেয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জেহাদি সংগঠনের তরফে প্রথমবার হুমকি পাওয়ার পরই দিল্লির পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গম্ভীর। তারপর চারদিন কাটতে না কাটতেই আরও দুটি হুমকি চিঠি এসে পৌঁছাল প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনারের কাছে। স্বাভাবিক ভাবেই জঙ্গি গোষ্ঠী থেকে বারবার এই ধরনের চিঠি পাওয়ায় উদ্বেগে গোটা পরিবার। কেন প্রতিবার গম্ভীরকেই টার্গেট করা হচ্ছে, তা জানার চেষ্টা করছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)।
গত বুধবার প্রথমবার হুমকি পাওয়ার কথা দিল্লি পুলিশকে জানিয়েছিলেন গম্ভীর (Gautam Gambhir)। তারপরই পূর্ব দিল্লি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ গম্ভীরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। তাঁর বাসভবনের সামনে অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়। গোটা বিষয়টির তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ। পরে জানা গিয়েছিল, আসলে খুনের হুমকি দেওয়া ওই চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল পাকিস্তান থেকে। আর এদিন যে চিঠি গম্ভীরের কাছে এসে পৌঁছেছে, তাতে আবার দিল্লি পুলিশের নাম উল্লেখ আছে বলে সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর।
[আরও পড়ুন: টি-২০ ক্রিকেটকে খুন করছেন রোহিত, শুভমনদের মতো ওপেনাররা! বিস্ফোরক গেইল]
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের ইসলামিক স্টেটের একটি শাখা সংগঠন আইএস কাশ্মীর৷ জম্মু ও কাশ্মীর, কেরল, উত্তরপ্রদেশ-সহ একাধিক রাজ্যে সক্রিয় ইসলামিক স্টেট। ২০১৯ সালে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের কাশ্মীরের কমান্ডার ইশাক সফি ওরফে আবদুল্লা ভাই৷ ইশাক সফি উপত্যকায় ‘ইসলামিক স্টেট জম্মু-কাশ্মীর’-এর (আইএসজেকে) একমাত্র সক্রিয় সদস্য ছিল। সংগঠনটির প্রধান কুখ্যাত জঙ্গি জাকির মুসাকেও কয়েকদিন পর কাশ্মীরের ত্রালে নিকেশ করে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারত ও পাকিস্তানের অধিকারে থাকা দুই কাশ্মীরকেই তারা খিলাফতের অধীনে আনতে চায়৷ খিলাফত মানে, হানাফি বা সালাফি মতাবলম্বী ধর্মগুরুর নেতৃত্বে থেকে কঠোর ইসলামিক অনুশাসন প্রতিষ্ঠা৷ খিলাফত জাতীয়তাবাদের বা কোনও দেশের আবেগের কোনও জায়গা নেই৷ খিলাফত মানে শুধুই কঠোর ইসলামিক অনুশাসন৷ সেটাই দেশ অর্থাৎ ইসলামিক সাম্রাজ্য৷