স্টাফ রিপোর্টার: টস জিতে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের শেষে ইংল্যান্ড (England) করেছে ৩ উইকেটে ২৬৩ রান। শততম টেস্টে রুটের শতরান। সিবলি শেষ বলে ৮৭ রানে আউট। তৃতীয় উইকেটে জুটিতে ২০১ রান। চেন্নাই টেস্টের পরিসংখ্যান বলছে, প্রথম দিন বিরাটদের শাসন করল ইংল্যান্ড। রুট আছেন। হাতে আছে সাত উইকেট। ইংল্যান্ড কোথায় গিয়ে থামবে, তার উপর টেস্টের ভাগ্য অনেকটা নির্ভর করছে।
পাটা উইকেটে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে এই রান দেখে চমকে ওঠার কিছু নেই। তবে প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir) বক্তব্যে চমকে ওঠার যথেষ্ট কারণ আছে। ৩৮০ দিন পর দেশের মাঠে টেস্ট খেলতে নামা ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনাকে মেনে নিতে পারলেন না জাতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার। বলছেন, “ বিরাটদের প্রথম একাদশ দেখে নিজেই চমকে গিয়েছি। এই দলে কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav) থাকবে না? সিরাজকে কোন যুক্তিতে দলের বাইরে রাখা হল? অনেকদিন লাল বলের ক্রিকেটের বাইরে থাকার পর হঠাৎ করে ইশান্তকে কেন চেন্নাইয়ে (Chennai) ফিরিয়ে আনা হল? না, ওদের ভাবনার সঙ্গে নিজেকে মেলাতে পারছি না।”
দু’বছর জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলতে পারছেন না কুলদীপ। অস্ট্রেলিয়ায় একটি ওয়ার্ম আপ ম্যাচ ছাড়া মাঠে নামেননি। দেশে ফিরে ইংল্যান্ড সিরিজেও বাইরে। ইদানীং তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে রিস্ট স্পিনারদের আলাদা জায়গা। তার উপর দলে জাদেজা নেই। তবু তাঁর কথা ভাবা হবে না? গম্ভীর বলছেন,“ রিস্ট স্পিনাররা দলে থাকলে ক্যাপ্টেনেরই লাভ। প্রতিপক্ষের ডান বা বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের সামনে সে ভয়ঙ্কর হতে পারে। চেন্নাইয়ের উইকেটে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা কঠিন। এই ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে সহজে ব্যাট করতে পারবে না। সামনে কুলদীপ থাকলে কাজ অনেক কঠিন হত। এ সব কেন ম্যানেজমেন্ট ভাববে না?” গম্ভীর সরাসরি না বললেও এটাই ঠিক যে এমন চললে কুলদীপের আত্মবিশ্বাস তলানিতে ঠেকবে। তখন তার দায় নেবে কে?
[আরও পড়ুন: কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে টুইট করেও মুছে দিলেন ক্রিকেটার সন্দীপ শর্মা! তুঙ্গে বিতর্ক]
শুধু কুলদীপ যাদবই নয়, মহম্মদ সিরাজ নিয়েও গলা চড়িয়েছেন গম্ভীর। তিনি বলছেন,“ বুমরার সঙ্গে সিরাজকে দলে রাখা উচিত ছিল। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে সিরিজ অভিষেকে চমকে দিয়েছিল। সব থেকে বেশি উইকেটও পেয়েছিল। শেষ টেস্ট ব্রিসবেনে বোলিংয়ে দলকে নেতৃত্ব দিতেও আমরা দেখেছি। লম্বা স্পেলে বল করতে পারে। ওকে না নিয়ে দলে আনা হল ইশান্ত শর্মাকে। কেন? ইশান্ত এর আগে টেস্টে ভাল বল করেছে। কিন্তু দীর্ঘদিন লাল বলের ক্রিকেটে নেই ইশান্ত। আইপিএল খেলতে গিয়ে কোমরে চোট লাগে। আর আইপিএলে চার ওভারের বেশি বল করেত হয় না। টেস্টে তা হবে না। ওকে না হয় দ্বিতীয় বা তৃতীয় টেস্টে ভাবা যেত। তা না করে সিরাজকে বাইরে রাখা হল। কোন যুক্তিতে ম্যানেজমেন্ট এটা করল? না, এর কোনও ব্যাখ্যা নেই।”