সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরকীয়ার ভয়ংকর রূপ দেখল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিয়াবাদ শহর। ১৫ দিন আগে জেল থেকে ছাড়া পাওয়া প্রেমিক হত্যা করল প্রৌঢ়া প্রেমিকার ১৮ বছর বয়সি সদ্য বিবাহিত মেয়েকে। প্রেমিকের ইর্ষা থেকে রক্ষা পেলেন না জামাই। গুরুতর আহত হয়েছেন ওই যুবক। অসুস্থ মাকে দেখতে এসে বেঘোরে প্রাণ গেল তরুণীর। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ববি হত্যা করেছে চম্পা দেবীর মেয়ে জ্যোতিকে। মঙ্গলবার ই-রিক্সায় চেপে স্বামী ললিতেশের সঙ্গে মায়ের বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। সেই সময় সেখানে হাজির হন ববি। ধারাল ছুরি নিয়ে চম্পার উপর হামলা চালান তিনি। মাকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন জ্যোতি এবং তাঁর স্বামী ললিতেশ। এর পর সামনে পড়ে যাওয়া জ্যোতিকেই ধারাল ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ববি। জ্যোতির স্বামীও সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন। ছয় মাসে আগেই বিয়ে হয়েছিল ললিতেশ-জ্যোতির।
[আরও পড়ুন: এবার আহমেদনগরের নামবদল! মোদিকে পাশে নিয়ে ভোটপ্রচারে ঘোষণা ফড়ণবিসের]
পুলিশ আধিকারিক জানান, দিন পনেরো আগে গৌতম বুদ্ধ নগর জেল থেকে মুক্তি পেয়েছিল ববি। চম্পার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। যদিও ববির অনুপস্থিতিতে অজয় নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে চম্পার ঘনিষ্টতা হয়েছিল। এতেই ক্ষিপ্ত হয় ববি। এক সঙ্গীকে নিয়ে চম্পাকে 'শাস্তি' দিতে হাজির হয়েছিল সে। কিন্তু জ্যোতি এবং ললিতেশের বাঁধার মুখে পড়ে। সেই সংঘর্ষেই মৃত্যু হয় জ্যোতির। গুরুতর আহত হন ললিতেশ। পিছনের দরজা দিয়ে ছুটতে ছুটতে গিয়ে পুলিশ ডাকেন চম্পা। পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করেন ববিকে। রক্তাক্ত জ্যোতি এবং ললিতেশকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় জ্যোতির।
[আরও পড়ুন: ১৮ মাস পর ভারতে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ চিনের, দিল্লি দরবারে এবার জিনপিংয়ের ‘বিশ্বস্ত’ ফেইহং]
পুলিশ কর্মীরা জানান, চম্পার দুই বিয়ে। অনেক দিন আগেই প্রথম স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবন্ধী দ্বিতীয় স্বামী বিহারে থাকেন। গাজিয়াবাদে এসে ববির সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছিল তাঁর। যদিও মাঝে অজয়ের আবির্ভাবে টানাপোড়েন দেখা দেয় ওই সম্পর্কে। তার পরেই এই হত্যাকাণ্ড।