বাবুল দক, মালদহ: সরস্বতীর পুজোর রাতে স্কুলের প্রাঙ্গণে শোনা গিয়েছে ‘ভূতের শব্দ’! এমন দাবিকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছে মালদহে (Maldah)। অশরীরী আতঙ্ক গ্রাস করেছে স্থানীয়দের।
মালদহের কুশিদা হাই স্কুলের কয়েকজন পড়ুয়ার দাবি, সরস্বতী পুজোর রাতে তারা স্কুলেই ছিল। সেই সময় তারা শুনেছে বিভিন্ন রকম শব্দ৷ কখনও তাঁদের মনে হয়েছে, কেউ পায়ে নুপুর বেঁধে হেঁটে চলেছে স্কুলের বারান্দায়। কখনও আবার পুরুষের আর্তনাদের শব্দ, একাধিক পদচারণার শব্দও নাকি তারা শুনেছে। স্কুলের এক অস্থায়ী কর্মী মকসুদ আলি দাবি করেছেন, তিনিও কিছুদিন আগে এই ধরণের শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন। সব মিলিয়ে গোটা এলাকায় বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা চলছে। জানা গিয়েছে, স্কুলের কয়েকজন পড়ুয়া সেই শব্দগুলি মোবাইলে রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছে৷ তারপর থেকেই আতঙ্ক দানা বেঁধেছে স্থানীয়দের মনে৷ মকসুদ আলি বলেন, “গভীর রাতে এখানে মেয়েদের পায়ের নুপুরের আওয়াজ শোনা যায়৷ মনে হয় নুপুর বেঁধে মেয়েরা বারান্দা দিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে৷ কখনও ছেলের গলায় কান্নার আওয়াজও শোনা যায়৷” যদিও এই সব গুজবকে গুরুত্ব দিতে নারাজ স্কুল কর্তৃপক্ষ৷
[আরও পড়ুন: ‘গেরুয়া হনুমানের দল হুঁশিয়ার,’ হুগলিতে বজরং দলের উদ্দেশে এবার পালটা পোস্টার]
প্রধান শিক্ষক মহম্মদ হাসিব বলেন, “সরস্বতী পুজোয় স্কুলে রাত কাটাতে এসে ছাত্রদের কেউ হয়তো এনিয়ে মজা করেছে৷ তারা অন্য কোথাও এমন শব্দ রেকর্ডিং করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছে৷ আমরা এর তদন্ত শুরু করেছি৷ এনিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই৷ এর আগে স্কুলে ভোটকর্মীরা রাত কাটিয়েছেন৷ বন্যার সময় প্রায় এক সপ্তাহ স্থানীয় মানুষজন স্কুলে ছিলেন। কখনও এসব নিয়ে কোনও কিছু শোনা যায়নি৷ আমরা পড়ুয়াদের আতঙ্ক কাটানোর চেষ্টা করছি৷ প্রয়োজনে বিজ্ঞান মঞ্চকেও কাজে লাগানো হবে৷” কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহাম্মদ নুর আজম বলেন, “করোনা আবহে এই স্কুলেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা হয়েছিল৷ তখন আমরাও গভীর রাত পর্যন্ত স্কুলে থাকতাম৷ কেউ কখনও এই সব দেখতে পাননি৷ কিছু ছাত্র মজা করার জন্যই এসব রটিয়েছে।”