সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (Netaji Subhas Chandra Bose) ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে (India Gate) বসছে নেতাজির সুদীর্ঘ গ্রানাইটের মূর্তি। যতদিন না তা তৈরি হয়, ততদিন পর্যন্ত থাকবে একটি ‘হলোগ্রাম স্ট্যাচু’। শুক্রবার জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। কেমন হচ্ছে সেই মূর্তি? শিল্পীই বা কে?
বিশালাকার মূর্তিটি নির্মাণ করছেন প্রখ্যাত ভাস্কর অদ্বৈত গদানায়ক। ন্যাশনাল মডার্ন আর্ট গ্যালারির পরিচালক (National Modern Art Gallery) অদ্বৈত গদানায়ক (Adwaita Gadanayak) ও তাঁর দল মিলে গড়ে তুলছেন গ্রানাইট পাথরের এই বিশাল মূর্তিটি। ওই পাথর আনা হচ্ছে তেলাঙ্গানা থেকে। মূর্তিটির উচ্চতা হচ্ছে ২৫ ফুট।
শিল্পী অদ্বৈত গদানায়ক জানিয়েছেন, ইন্ডিয়া গেটে এমন ভাবে বসানো হচ্ছে মূর্তিটিকে যাতে করে সেটি রাইসিনা হিলস থেকেও দেখা যায়। ঠিক কী ধরনের বিশেষত্ব থাকবে দেশনায়কের মূর্তিটিতে তা বলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে, জানিয়েছেন শিল্পী। সেই নির্দেশিকা অনুসরণ করেই মূর্তি তৈর করছেন অদ্বৈত গদানায়ক ও তাঁর দল।
[আরও পড়ুন: ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীতে বিশেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন, ইন্ডিয়া গেটে বসছে নেতাজির গ্রানাইট মূর্তি]
নেতাজি মূর্তির প্রধান শিল্পী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি মূর্তি স্থাপনের কথা ঘোষণা করা মাত্র কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। নেতাজির ঋজু চরিত্রকেই তুলে ধরা হবে তাঁর পাথরের অবয়বে। যা হতে চলেছে এই মূর্তির অন্যতম বিশেষত্ব।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি গড়ার সুযোগ পেয়ে আপ্লুত অদ্বৈত গদানায়ক। তিনি বলেন, “আমি অত্যন্ত আনন্দিত। একজন ভাষ্কর হিসেবে এ আমার কাছে ভীষণই সম্মানের বিষয় যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাকে এই দায়িত্বের জন্য বেছে নিয়েছেন।”
[আরও পড়ুন: নেতাজির ট্যাবলো কেন বাদ দিল কেন্দ্র, জবাব চেয়ে জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাই কোর্টে]
এদিকে জানা গিয়েছে, আপাতত ইন্ডিয়া গেটে যে হলোগ্রাম মূর্তির ব্যবস্থা হচ্ছে, তা একটি ৩০,০০০ লুমেন ফোর কে (4K) প্রজেক্টর দ্বারা চালিত হবে। একটি অদৃশ্য হাই গেইন সম্পন্ন ৯০ শতাংশ স্বচ্ছ হলোগ্রাফিক স্ক্রিন এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে যাতে তা দর্শকের চোখে না পড়ে। হলোগ্রাম এফেক্টকে আরও সুন্দর করে তুলতে নেতাজির একটি ত্রিমাত্রিক ছবি প্রজেক্টরে ফেলে দেখানো হবে।
প্রসঙ্গত, ২৩ জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি বিশেষ অনুষ্ঠানে ২০১৯, ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালের ‘সুভাষচন্দ্র বসু আপদা প্রবন্ধন পুরস্কার’ প্রদান করবেন। অনুষ্ঠানটিতে মোট সাতটি পুরস্কার প্রদান করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।