সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) গণধর্ষণের শিকার এক নাবালিকা। তবে এবার তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার মতো ঘটনা ঘটেনি। বরং কুচক্রীদের কবল থেকে পালিয়ে কোনওক্রমে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে সে নিজেই। পুলিশ নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। তবে একের পর এক নারী নিগ্রহের ঘটনায় যোগী রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের এক গ্রামে বাস করত বছর পনেরোর ওই কিশোরী। পড়াশোনা করে না সে। সামান্য কিছু টাকা উপার্জনের আশায় হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজে বেড়াচ্ছিল কিশোরী। সেই সূত্রে বিউটি পার্লারের এক মালিক কিশোরীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাকে চাকরি দেবে বলেও জানায়। ১৫ জুন রামনগর এলাকার ওই বিউটি পার্লারে যায় সে। ওইদিন থেকেই কাজ শুরু করে কিশোরী। প্রায় ১৪দিন দিব্যি কাজ করতে থাকে সে। তারপরই তৈরি হল গণ্ডগোল। কিশোরীর অভিযোগ, ওই বিউটি পার্লারের মালিক নিয়ম করে তাকে যৌন উত্তেজনাবর্ধক ওষুধ খাওয়াতে শুরু করে। এরপর গোলাঘাট এলাকায় একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে আটকে রেখে কমপক্ষে বারোজন মিলে দফায় দফায় ধর্ষণ করে বলেও অভিযোগ কিশোরীর। তার দাবি, দেহ ব্যবসায় নামতে চাপ দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: JEE, NEET পিছিয়ে দিলে পড়ুয়াদের সমস্যা বাড়বে, মোদিকে একযোগে চিঠি ১৫০ শিক্ষাবিদের]
এরপর ১৬ আগস্ট রাতে কোনওক্রমে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় কিশোরী। সোজা রামনগর থানায় এসে পৌঁছয় সে। গত এক মাস ধরে ঠিক কীভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে, সে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। রামনগর থানার পুলিশ চুনার থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে। জানতে পারে গত ২১ জুলাই ওই থানায় একজন ব্যক্তি তাঁর ভাগ্নির নিখোঁজ ডায়েরি করে। সেই বর্ণনা মিলিয়ে দেখা যায় এই কিশোরীর জন্য নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। চুনার থানার কাছে ওই কিশোরীকে হস্তান্তরিত করে দেওয়া হয়। চুনার থানার পুলিশই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যদিও এখনও কেউই পুলিশের জালে ধরা পড়েনি।