সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতে গত বছর থেকেই বন্ধ স্কুল, কলেজ। তার ফলে পড়ুয়াদের ভরসা অনলাইন ক্লাস। অপছন্দ সত্ত্বেও সন্তানদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিতে হচ্ছে অভিভাবকদের। অনেকেই মনে করছেন, পড়াশোনা ছাড়াও বেশিরভাগ সময় মোবাইলে মুখ গুঁজেই সময় নষ্ট করছে পড়ুয়ারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশিরভাগ সময়ই কাটাচ্ছে তারা। তবে অভিভাবকদের এই চিন্তাভাবনা যে খুব একটা অযৌক্তিক নয়, তা প্রমাণ করল আহমেদাবাদের বছর পনেরোর এক কিশোরীর কীর্তি।
অনলাইনে ক্লাস (Online Class) করতে অসুবিধা হচ্ছিল মেয়ের। তাই মেয়ের সুবিধার কথা ভেবে বেশ দামী স্মার্টফোন কিনে দিয়েছিলেন বাবা। বাড়িতে সকলের সামনে বসে অনলাইন ক্লাস করতেও সমস্যা হচ্ছিল। সে কারণে আলাদা ঘরেরও বন্দোবস্ত করেছিলেন তিনি। আর সেই সুযোগেই যাচ্ছে তাই কাণ্ড ঘটাল বছর পনেরোর কিশোরী। আত্মীয়রা কিশোরীর বাবা-মাকে জানায়, সে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়শয়ই নগ্ন ছবি পোস্ট করে। এমনকী তুতো বোনেদের এ বিষয়ে উৎসাহ দিচ্ছিল বলেও অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: Kama Sutra: বইজুড়ে হিন্দু দেবদেবীর আপত্তিকর ছবি! গুজরাটে কামসূত্র পোড়াল বজরং দল]
সেকথা শোনামাত্রই অবাক হয়ে যান কিশোরীর বাবা-মা। প্রথমে মানতেও নারাজ ছিলেন তাঁরা। পরে যদিও আত্মীয়রা প্রমাণ হিসাবে ওই ছবি ছাত্রীর বাবা-মাকে দেখান। বিষয়টি সত্যি জানার পর নিজেদের আর সামলাতে পারেননি তাঁরা। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্ত হন কিশোরীর বাবা-মা।
সামান্য সেরে ওঠার পর কিশোরীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন তার বাবা-মা। হেল্পলাইন নম্বর ১৮১-তে ফোন করে মনোবিদের সঙ্গে কিশোরীকে কথা বলান তাঁরা। মনোবিদ কিশোরীকে বুঝিয়ে বলে এ ধরনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একেবারেই অনুচিত। এভাবে সে সাইবার ক্রাইম করে ফেলেছে বলেও জানান তাঁরা।
কিশোরী কথা দেয় সে বাবা-মায়ের সামনেই স্মার্টফোন ব্যবহার করবে। সমস্ত নগ্ন ছবি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মুছে ফেলার কথাও বলে। সেই মতো বর্তমানে তার নগ্ন ছবি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে ফেলেছে কিশোরী। অনলাইন ক্লাস ছাড়া স্মার্টফোনও ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে না বলেই দাবি পরিজনদের।