অর্ণব আইচ: বাড়িতে বলেছিল মাধ্যমিকে অন্তত তিনটে লেটার সে পাবেই। শুক্রবার মাধ্যমিকের ফল বের হওয়ার পর দেখা যায়, ৩১ শতাংশ নম্বর পেয়েছে মেয়েটি। এর পরই ৬ বছরের বোনকে নিয়ে কলকাতা থেকে উধাও হয়ে গিয়ে অপহরণের নাটক করে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ১৬ বছর বয়সের ওই ছাত্রী। এমনকী, নিজের মোবাইল থেকে বাবার মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে এক কোটি টাকা মুক্তিপণও চায় সে। শেষ পর্যন্ত নদিয়ার কৃষ্ণনগর থেকে পুলিশ উদ্ধার করল দুই নাবালিকাকে। ওই ছাত্রীর এক বন্ধুরও সন্ধান চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রীর বাড়ি দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোনিতে। তার বাবা অটোচালক। ওই এলাকারই একটি স্কুলের ওই ছাত্রী ভাল ফল করবে বলে আশা করেছিলেন মা-বাবা। কিন্তু নেট ঘেঁটে ৩১ শতাংশ নম্বর পেয়েছে তা দেখতে পেয়েই এক বন্ধুর সঙ্গে অপহরণের নাটকের ছক কষে সে। শুক্রবার সকালে অভিভাবকদের বলে, সে বোনকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে মাধ্যমিকের ফল জানতে। ৬ বছরের বোনকে নিয়ে স্কুটি করে বের হয়। স্কুটি মাস্টারদা সূর্য সেন স্টেশনের সামনে রাখে। সেখানেই অপেক্ষা করছিল এক বন্ধু। বোন ও বন্ধুকে নিয়ে মেট্রোরেল করে দমদম স্টেশনে যায়। সেখান থেকে কৃষ্ণনগর লোকালে চড়ে বসে।
[আরও পড়ুন: বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট তুলে নিচ্ছে রিজার্ভ ব্যাংক, বদলে ফেলুন এই তারিখের মধ্যেই]
এদিকে, দীর্ঘ সময়ের জন্য দুই মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় বাঁশদ্রোনি থানায় অভিভাবকরা মিসিং ডায়েরি করেন। দুপুর একটা নাগাদ মেয়ের মোবাইল থেকেই বাবার মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে বলা হয়, দুই মেয়েকে ফেরৎ পেতে হলে এক কোটি টাকার মুক্তিপণ দিতে হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের নেপালগঞ্জে ওই টাকা নিয়ে যেতে হবে। মেট্রোরেলের সিসিটিভির ফুটেজে মেয়েটির সঙ্গে এক তরুণকে দেখা যায়। মেয়েটির মোবাইলের সূত্র ধরেও পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, সে লোকাল ট্রেনে করে কৃষ্ণনগরের দিকে যাচ্ছে। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ ও রেল পুলিশকে দুই বোনের ছবি পাঠানো হয়। এদিন বিকেলে দুই বোনকেই কৃষ্ণনগরের একটি নার্সিংহোমের কাছ থেকে পুলিশ আটক করে। রাতে তাদের কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর বন্ধুরও সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।