সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামী পরকীয়ায় জড়িত! অত্যাচার করেন তাঁর প্রেমিকা। তা সত্ত্বেও স্বামীর ওই প্রেমিকার বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার মামলা বাতিল করে দিল বম্বে হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, স্বামীর বান্ধবী পরিবারের সদস্য বা আত্মীয় নন, তাই তাঁর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার মামলা খাটে না।
মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুরের বাসিন্দা এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মী তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, এক মহিলার সঙ্গে স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে। সেই মহিলাও তাঁর উপর অত্যাচার করেন। কিন্তু ওই মহিলার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগ খারিজ করে দিল বম্বে হাই কোর্ট।
[আরও পড়ুন: হাজিরা না দিলে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা! ১৮ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব সুপ্রিম কোর্টের]
বম্বে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, গার্হস্থ্য হিংসার আইনে স্বামীর প্রেমিকা কখনওই তাঁর আত্মীয় হিসাবে গণ্য হতে পারেন না। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আবেদনকারী অভিযোগকারীর স্বামীর আত্মীয় নন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে এই ধারা প্রযোজ্য নয়। বম্বে হাই কোর্টে অভিযুক্ত ওই মহিলার আইনজীবী দাবি করেন, গার্হস্থ্য হিংসা মামলায় কোনওভাবেই তাঁকে অভিযুক্ত করা যায় না। কারণ তিনি ওই পরিবারের কেউ নন। তাছাড়া, অত্যাচারের অভিযোগও সত্যি নয়। শুধু স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কে আছে বলে ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে এই মামলা করা হয়েছে। হাই কোর্ট সেই যুক্তি মেনেও নিয়েছে।
[আরও পড়ুন: সাইকেলে চড়তে গিয়েই যৌনাঙ্গে আঘাত! মহারাষ্ট্রে নির্যাতিত শিশুদের পরিবারকে বলেন প্রধান শিক্ষিকা]
উল্লেখ্য, আইন অনুযায়ী স্বামী বা তাঁর পরিবারের সদস্যরা বধূর উপর অত্যাচার বা হেনস্তা করলে তাঁরা গার্হস্থ্য হিংসা মামলা দোষী সাব্যস্ত হন। এই মামলায় দোষী সাব্যস্তদের তিন বছর পর্যন্ত জেল এবং জরিমানা হতে পারে। সেই ধারাতেই স্বামীর বান্ধবীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তরুণী। কিন্তু এই মামলায় বম্বে হাই কোর্ট যা রায় দিল সেটার আগামী দিনেও সুদূরপ্রসারী প্রভাব থাকতে পারে।