সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিপাকে হরিয়ানার মনোহরলাল খাট্টার সরকার। ‘গীতা’ কেলেঙ্কারির অভিযোগে এবার উত্তাল ওই বিজেপি শাসিত রাজ্য। অভিযোগ, ধর্মগ্রন্থটি নিয়ে ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতি করা হয়েছে। ভিআইপি অতিথিদের ‘উপহার’ দিতে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকায় কেনা হয় ১০টি ভাগবত গীতা। অর্থাৎ মহাকাব্যটির একটি কপির দাম দাঁড়ায় ৩৮ হাজার টাকা। এই বিস্ফোরক খবর জানা গিয়েছে তথ্য জানার অধিকার আইনের (আরটিআই) আওতায় দায়ের করা একটি আবেদনে।
[দুধ দিচ্ছে না গরু, হরিয়ানা সরকারের উপহার ফেরালেন বক্সাররা]
জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে রাজ্যে অনুষ্ঠিত ‘ইন্টারন্যাশনাল গীতা ফেস্টিভ্যাল‘-এর সময় বিশিষ্ট অতিথিদের উপহার দেওয়ার জন্য বিশাল অঙ্কে ১০টি গীতা কেনা হয়। এছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার জন্য বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী ও মনোজ তিওয়ারিকে যথাক্রমে ২০ লক্ষ ও ১০ লক্ষ টাকা দেয় খাট্টার সরকার। কৃষকদের আত্মহত্যা যে রাজ্যে নিত্যদিনের ঘটনা। সেখানে এহেন অপব্যয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল’ (আইএনএলডি)। ওই দলের নেতা তথা হিসারের সাংসদ দুষ্মন্ত চৌটালার বক্তব্য, “বাজরে এমনকি অনলাইনেও অনেক কম দামে গীতা পাওয়া যায়। তা না করে এই বিশাল অর্থ ব্যয় করার নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে তার জবাব দিতে হবে খট্টর সরকারকে।” শুধু তাই নয় এই ঘটনায় তদন্তের দাবি করেন চৌটালা। তিনি হুমকি দেন তসন্ত না হলে বিষয়টি নিয়ে ক্যাগ-এর দ্বারস্থ হবেন তিনি। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন আইএনএলডি নেতা। তাঁর কটাক্ষ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলেন মোদি। এদিকে তাঁর দলের নেতারাই আর্থিক নয়ছয়ে জড়িয়ে রয়েছে।
জাট আন্দোলন থেকে রাম রহিম কাণ্ডে ব্যর্থ প্রশাসকের অভিযোগ ওঠে মুখ্যমন্ত্রী খাট্টারের বিরুদ্ধে। তাই এবার গীতা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে চাপে রয়েছেন তিনি বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মুখ না খুললেও। সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন বিজেপি নেতা তথা মন্ত্রী অনিল ভিজ। তবে একই সঙ্গে তদন্তের পক্ষেও সওয়াল করে তিনি বলেন কাউকে দোষী পাওয়া গেলে রেয়াত করা হবে না।
[জেলেও বহাল রাজ্যপাট, প্রভুভক্ত রাঁধুনি ও পরিচারককে নিয়ে খোশমেজাজে লালু]
The post গীতার দাম ৩৮ হাজার টাকা, অতিথি আপ্যায়নে ‘কীর্তি’ হরিয়ানা সরকারের appeared first on Sangbad Pratidin.