সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেসের অনমনীয় মনোভাব! গোয়ায় মহারাষ্ট্রের ধাঁচের মহা বিকাশ আগাড়ি গড়ে ওঠার সম্ভাবনার সমূলে বিনাশ ঘটল। এনসিপি (NCP) এবং শিব সেনার (Shiv Sena) সঙ্গে কংগ্রেসের জোটের সম্ভাবনা পুরোপুরি ভেস্তে গেল। ক্ষুব্ধ দুই জোটসঙ্গী নিজেদের মধ্যে আসন সমঝোতা করে গোয়ার ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মহারাষ্ট্রে যেভাবে মহা বিকাশ আগাড়ির (MVA) সরকার চলছে, ঠিক সেভাবেই গোয়াতেও এনসিপি এবং কংগ্রেসকে নিয়ে মহাজোট গড়ার উদ্যোগ নিয়েছিল শিব সেনা। সেই মতো কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনাও শুরু করেছিল তাঁরা। এনসিপি আবার চাইছিল কংগ্রেস (Congress), এবং তৃণমূলকে নিয়ে একসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে। কিন্তু কংগ্রেস নেতাদের অনমনীয় মনোভাবের জন্য শেষপর্যন্ত কোনওটাই সম্ভব হল না। কংগ্রেসের সঙ্গে শিব সেনা এবং এনসিপির জোট ভেস্তে গেল। শেষ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের দুই জোট সঙ্গী গোয়াতেও একসঙ্গে লড়ার সিদ্ধান্ত নিল।
[আরও পড়ুন: পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর বাড়িতে ইডি হানা, ‘মমতার মতো আমাকেও টার্গেট করছে’, তোপ চান্নির]
মঙ্গলবারই এনসিপি নেতা প্রফুল প্যাটেল (Praful Patel) গোয়ায় জোট না হওয়ার জন্য কংগ্রেসকে দুষেছিলেন। ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, গোয়ায় তাঁরা শিব সেনার সঙ্গে জোট করে লড়বেন এবং সফল হবেন। প্রফুল প্যাটেলের বক্তব্য,”কংগ্রেস মনে করে ওরা গোয়ার বিধানসভা ভোট একাই জিতে যাবে। সেটা ওদের ব্যাপার। আমরা আর ওদের সঙ্গে জোট নিয়ে কোনও কথা বলছি না। এনসিপি এবং শিব সেনা এই নির্বাচনে একসঙ্গে লড়বে। এবং এনসিপি বেশ কয়েকটি আসন জিতবে।” একই সুর শোনা গিয়েছে শিব সেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের (Sanjay Raut) গলাতেও। তিনিও বলছেন,”আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করেছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। শিব সেনা এবং এনসিপি গোয়াতেও মহা বিকাশ আগাড়ি তৈরির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কংগ্রেস ভাবছে ওরা একাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।”
[আরও পড়ুন: অভিষেকের সফরের মধ্যেই গোয়ার প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের, ঘোষিত রাজ্য কমিটিও]
গোয়ায় এনসিপি এবং শিব সেনা আলাদা লড়ার অর্থ হল ৪০ আসন বিশিষ্ট গোয়া বিধানসভার লড়াই এবার হবে পঞ্চমুখী। বিজেপি, কংগ্রেস-গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি, তৃণমূল- এমজিপি, আপ এবং শিব সেনা-এনসিপি। সেক্ষেত্রে বিজেপি (BJP) বিরোধী ভোট আরও ভাগ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ল। ঘটনাচক্রে, শিব সেনা, তৃণমূল, এনসিপি সব দলই নিজেদের মতো করে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে চেয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। আর সেজন্য যে কোথাও না কোথাও কংগ্রেসের মনোভাবই দায়ী, সেটা এই দলগুলির বক্তব্যে স্পষ্ট।