দীপঙ্কর মণ্ডল: মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে অগ্নিকন্যা তকমা পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক প্রধান হওয়ার আট বছর পরে তিনি এবার লৌহমানবী আখ্যা পেলেন। বুধবার রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে বৈঠকে ডেকেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পর রাজ্যে যে চূড়ান্ত হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে চলেছে তা নিয়ে নবান্নের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হয় রাজ্যপালের। বৈঠক শেষে তিনি জানান, খুব ভাল আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, খুব তাড়াতাড়ি তিনি মালদহ-মুর্শিদাবাদের উপদ্রুত এলাকায় যেতে চান। এ ব্যাপারে নবান্নের সহযোগিতা চান তিনি।
ইতিমধ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পথে নেমেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাচ্ছেন তিনি এ রাজ্যে ক্যাব ও এনআরসি হতে দেবেন না। ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল জানিয়ে দিয়েছেন, এইভাবে কোনও নির্বাচিত সরকার কেন্দ্রীয় আইনের বিরোধিতা করে জনগণের টাকায় বিজ্ঞাপন দিতে পারে না। এদিনও প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে কে কী করবেন সেটা তার বিবেকের ব্যাপার। কিন্তু জনগণের টাকায় কেন্দ্রীয় আইনের বিরোধিতা করা অসাংবিধানিক।
[আরও পড়ুন: “নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে কি বিজেপির মাদুলি কাজ করবে?”, তোপ মমতার]
তবে রাজ্যপালের গলায় এদিন বিদ্রোহের পরিবর্তে কিছুটা সমঝোতার সুর শোনা গিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে লৌহমানবী হিসাবে সম্বোধন করে তিনি বলেন, ‘রাজ্যে শান্তি ফেরাতে হবে। আমি মালদহ-মুর্শিদাবাদের উপদ্রুত এলাকায় যাব। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা অপরাধ। রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমার যাওয়ার কথা সরকারকে জানিয়েছি। তারা নিশ্চয়ই ব্যবস্থা করবেন।’
The post ‘লৌহমানবী মমতা’, বিদ্রোহের বদলে সমঝোতার সুর রাজ্যপালের গলায় appeared first on Sangbad Pratidin.