সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যাশামতোই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) কলেজিয়ামের সুপারিশ করা নতুন ৯ জন বিচারপতির নামে শিলমোহর দিল কেন্দ্র। যে তালিকায় রয়েছেন তিনজন মহিলা বিচারপতিও। ফলে ২০২৭ সালেই দেশের প্রথম মহিলা বিচারপতি হতে পারেন এই তালিকায় থাকা বিভি নাগরত্ন।ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও বিচারপতিদের নিয়োগে সম্মতি জানিয়েছেন।
সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বেই সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম নয় বিচারপতির নাম সুপারিশ করেন। এই তালিকায় ছিলেন কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অভয় শ্রীনিবাস ওকা, বিচারপতি বিভি নাগরত্ন, তেলেঙ্গনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিমা কোহলি, গুজরাট হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিক্রম নাথ, সিকিমের প্রধান বিচারপতি জিতেন্দ্র কুমার মাহেশ্বরী, কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি সিটি রবিকুমার, মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি এমএম সুন্দ্রেশ, গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী ও আইনজীবী পিএস নরসিমহা।
[আরও পড়ুন: তালিবানের মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারত, জানিয়ে দিলেন সেনা সর্বাধিনায়ক Bipin Rawat]
সুপ্রিম কোর্টে মোট বিচারকের সংখ্যা ৩৪। বর্তমানে মোট ২৪ জন বিচারপতি আসীন ছিলেন। ফলে নতুন করে এই নয়জন বিচারপতি শপথ নিলে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৩৩-এ। ফলে একটি পদ এখনও খালি থেকে যাচ্ছে। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের স্থির করা নামের মধ্যে বিচারপতি নাগরত্ন আগামী ২০২৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হতে পারেন। এক মাসের জন্য হলেও তিনিই ভারতের প্রথম সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হতে পারেন।
১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট গঠন হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত বিগত ৭১ বছরে খুব কম সংখ্যক মহিলাকেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রূপে পাওয়া গিয়েছে। এখনও অবধি মাত্র আটজন মহিলাই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হতে পেরেছেন, সেখানে প্রধান বিচারপতি পদে একজন মহিলার দায়িত্ব গ্রহণ করা নয়া ইতিহাসের সূচনা করবে।
কে এই বিচারপতি বিভি নাগারত্ন? এই মুহূর্তে কর্ণাটক (Karnataka) হাই কোর্টের বিচারপতির পদে রয়েছেন বিভি নাগরত্ন। ২০০৮ সালে তিনি ওই হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। বছর দুয়েক পরে তিনি স্থায়ী বিচারপতি হন। শেষ পর্যন্ত দেশের প্রধান বিচারপতি হলে নিঃসন্দেহে তা হবে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। তাঁর বাবা বিচারপতি ইএস ভেঙ্কটরামাইয়াও দেশের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। ১৯৮৯ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ওই পদে ছিলেন। বাবার পথ অনুসরণ করে মেয়েও প্রধান বিচারপতি হলে যেন একটি বৃত্তই পূর্ণ হবে।