সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভুয়ো তথ্য প্রচার ও ধর্মীয় বৈষম্য ছড়ানোর দায়ে ইউটিউবের (YouTube) ৪৫ ভিডিওকে নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, ১০টি ইউটিউব চ্যানেলে ওই ৪৫টি আপত্তিকর ভিডিও আপলোড করা হয়েছিল। ওই চ্যানেলগুলিকেও আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক (Information and Broadcasting Ministry) জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মটিকে এই বিষয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) বলেন, “১০টি ইউটিউব চ্যানেলকে (YouTube Channel) নিষিদ্ধ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এরা ভুল তথ্য দিয়ে বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্টের চেষ্টা করছিল। দেশের নামে অপপ্রচার করা হচ্ছিল। দেশের স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত আগেও নেওয়া হয়েছে, ভবিষ্যতেও নেওয়া হবে।” তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের গাইডলাইন অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে চ্যানেলগুলির বিরুদ্ধে, জানিয়েছেন মন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: পিএফআইকে জঙ্গি সংগঠনের হিসেবে ঘোষণার প্রস্তুতি কেন্দ্রের, UAPA ধারা প্রয়োগের তোড়জোড়]
উল্লেখ্য, নিষিদ্ধ হওয়া ৪৫টি ভিডিওতে ধর্মীয় বিষয়ে মিথ্যে তথ্য দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বেশ কিছু সম্প্রদায়কে ভারতে ধর্মাচরণ করতে দেওয়া হয় না। ভারতে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ভিডিওগুলিতে। কিছু ভিডিওতে ভারতীয় সেনা, অগ্নিপথ নিয়োগ প্রকল্প, কাশ্মীর প্রসঙ্গে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের বক্তব্য, জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ভিডিওগুলিকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বর্বর ঘটনা ঝাড়খণ্ডে, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়র সামনেই গণধর্ষিতা তরুণী]
গত আগস্ট মাসে আটটি ইউটিউব চ্যানেলকে বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র। ৭টি ভারতীয় এবং ১টি পাকিস্তান ভিত্তিক ইউটিউব নিউজ চ্যানেলকে ২০২১-এর আইটি রুল অনুসারে ব্লক করা হয়েছিল। সেই সময় মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ভারতের ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা ছড়ানোর কাজ চলছিল। ওই ইউটিউব চ্যানেলগুলিতে আপলোড করা বিভিন্ন ভিডিওতে মিথ্যা দাবি করা হয়েছিল, যেমন, ভারত সরকার ধর্মীয় প্রতিকৃতি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে, ভারত সরকার ধর্মীয় উৎসব উদযাপন বন্ধ করে দিয়েছে, ভারতে ধর্মীয় ক্ষেত্রে সামরিক নীতি ঘোষণা করেছে ইত্যাদি।