সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুদ্রাস্ফীতি, মূল্যবৃদ্ধির (Price Rice) মারে জর্জরিত দেশ। বাজারে কমছে পণ্যের চাহিদা। ফলে কমছে উৎপাদন পরিমাণ। এই পরিস্থিতিতে একপ্রকার বাধ্য হয়েই আসন্ন বাজেট অধিবেশনে ব্যক্তিগত আয়ে কর কাঠামোয় বড়সড় ছাড়ের ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র সরকার। গত দু’বছর আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমায় কোনও বদল করা হয়নি। ট্যাক্স স্ল্যাব (Tax Slab) বা করের হারে বদল করা হলেও সেভাবে স্বস্তি পায়নি মধ্যবিত্ত। তবে এবার কেন্দ্র সেটাই করতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।
২০২০-২১ সালের বাজেটে কেন্দ্র যে করব্যবস্থা চালু করেছিল সেই ব্যবস্থা অনুযায়ী, আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় পুরোপুরি করমুক্ত। আড়াই থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগারে কর দিতে হয় ৫ শতাংশ। ৫ লক্ষ টাকা থেকে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর (Income Tax) দিতে হয় ১০ শতাংশ। সাড়ে সাত লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ রোজগারে কর দিতে হয় ১৫ শতাংশ। ১০ থেকে সাড়ে ১২ লক্ষে ২০ শতাংশ, ১২.৫ থেকে ১৫ লক্ষে ২৫ শতাংশ এবং ১৫ লক্ষের উপরে ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হত।
[আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপির কোন্দলে বিরক্ত শাহ ও নাড্ডারা! শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাতে ‘না’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর]
যদিও আয়কর আইনের ৮০ সি (80C) এবং ৮০ বি ধারা ব্যবহার করলে আয়করে ভাল হারে ছাড় পাওয়া যায়। সঠিকভাবে বিনিয়োগ করলে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগার পুরোপুরি করমুক্ত হয়ে যায়। তবে এই করছাড় পেতে বিভিন্নভাবে বিনিয়োগ করতে হত। সূত্রের খবর, কেন্দ্র এবার ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগারে পুরোপুরি করছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এর ফলে যারা ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগার করেন, তাঁরা কোনওরকম বিনিয়োগ না করলেও করছাড় পাবেন। আর যারা পাঁচ লক্ষ টাকার বেশি রোজগার করেন, তাঁদেরও করযোগ্য আয় ধরা হবে মোট আয় থেকে ৫ লক্ষ টাকা বাদ দিয়ে। ফলে তাঁরাও উপকৃত হবেন।
[আরও পড়ুন: গুজরাট মন্ত্রিসভায় প্রাধান্য ‘পিছড়ে বর্গ’কে, মন্ত্রিত্ব না পেয়ে অসন্তোষ হার্দিকের]
অর্থমন্ত্রকের এক কর্তা এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মানুষের হাতে বেশি নগদ থাকলে বাজারে পণ্যের চাহিদা বাড়বে। পণ্যের চাহিদা বাড়লেই বাড়বে উৎপাদন। যা দেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর হতে পারে।