সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর শেষে ভারতকে গর্বিত করলেন গ্র্যান্ডমাস্টার কোনেরু হাম্পি। প্রথম ভারতীয় দাবারু হিসেবে বিশ্ব মহিলা র্যাপিড দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ খেতাব জিতলেন তিনি।
রবিবার মস্কোয় বসেছিল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আসর। সেখানেই চিনের লেই টিংজিকে মগজাস্ত্রে ধরাশায়ী করেন হাম্পি। আরেক চিনা দাবারু ট্যাং ঝনগির বিরুদ্ধে শুরুতে খানিকটা হোঁচট খান ভারতীয় তারকা। তবে দুর্দান্ত কামব্যাক করে ফাইনাল রাউন্ডে জয় পকেটে পোরেন তিনি। তারপর লেইয়ের বিরুদ্ধে টাই ব্রেকার গেম জেতেন। জয়ের পর উচ্ছ্বসিত ৩২ বছরের গ্র্যান্ডমাস্টার বলেন, “তৃতীয় দিনে যখন প্রথম গেমটা শুরু করলাম, তখন ভাবতেই পারিনি আমি শীর্ষে পৌঁছে যাব। আশা ছিল প্রথম তিনে থাকব। কিন্তু টাই ব্রেকার গেম খেলব, সেটা একেবারেই কল্পনা করিনি।” তারকা দাবারু সঙ্গে জুড়ে দেন, “প্রথম গেমটা হারলেও দ্বিতীয় গেমে কামব্যাক করি। বেশ কঠিন ছিল লড়াইটা। তবে জিতলাম। ফাইনাল গেমে আমিই এগিয়ে ছিলাম। তাই জিততে অসুবিধা হয়নি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতিটা একেবারে অন্যরকম।”
[আরও পড়ুন: খেলার মাঠেই মৃত্যু প্রাক্তন মোহনবাগান ফুটবলার ধনরাজনের, শোকস্তব্ধ ময়দান]
এই ইভেন্টের প্রথম পাঁচটি রাউন্ডে ৪.৫ স্কোর করেন হাম্পি। তারপর রাশিয়ার বুলমাগার কাছে পরাস্ত হন। তবে শেষ দুটি রাউন্ড ভালভাবেই জিতে নেন। ইভেন্টে অবশ্য আরও চড়াই উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তাঁকে। প্রথম টাই-ব্রেকারে হারেন তিনি। দ্বিতীয়টিতে জিতে আর্মাগেডনে (দাবার পেনাল্টি শুট আউট নিয়ম) পৌঁছান।
মা হওয়ার পর ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত দাবা থেকে বিরতি নিয়েছিলেন হাম্পি। তারপর যেভাবে তিনি প্রত্যাবর্তন করলেন, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসছেন হাম্পি। কিংবদন্তি ভারতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার বিশ্বনাথন আনন্দ ২০১৭-য় পুরুষ চ্যাম্পিয়নশিপে এই খেতাব ঘরে তুলেছিলেন। দ্বিতীয় ভারতীয় এবং প্রথম মহিলা দাবারু হিসেবে এই অনন্য কীর্তির মালিক হয়ে গেলেন হাম্পি।
[আরও পড়ুন: দানিশ কানেরিয়া ছাড়া পাক দলে খেলা এই সাত অমুসলিম ক্রিকেটারকে চেনেন?]
The post ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতিই আলাদা’, ইতিহাস গড়ে উচ্ছ্বসিত ভারতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার appeared first on Sangbad Pratidin.