বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে কাস্তে, হাতুড়ি, তারায় পড়ছে ‘হাত’। বামেদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে কংগ্রেসের লড়াইয়ে সিলমোহর দিয়ে দিল কংগ্রেস হাইকমান্ড। বৃহস্পতিবার টুইটারে নিজে সুখবর জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। টুইটে তিনি লেখেন, আবারও তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বাম-কংগ্রেস (Cong-Left) জোট বেঁধে লড়াইয়ে নামছে। কংগ্রেস হাইকমান্ডের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর নির্বাচনী লড়াইয়ের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চলেছে প্রদেশ কংগ্রেস।
বাম-কংগ্রেসের জোট জল্পনা বহুদিনের। রাজ্য তৃণমূল এবং বিজেপি – উভয়ের বিরুদ্ধেই লড়াই দুই রাজনৈতিক দলের। সেদিক থেকে লড়াইয়ের স্ট্র্যাটেজি অনেকটা মিলেছে। তাই জোট বেঁধে লড়াইয়ের প্রাথমিক কথাবার্তা শুরু হয়। কয়েক দফা বৈঠক করে দু’দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বেশ কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে, সিপিএম পলিটব্যুরো, কেন্দ্রীয় কমিটির সিলমোহর পড়ার পর বামেদের দিক থেকে জোট চূড়ান্ত হয়। কংগ্রেস হাইকমান্ডের নেতারা এ নিয়ে ঐক্যমত্য হলেও, বাকি ছিল আনুষ্ঠানিক অনুমোদন। এবার দিল্লি থেকে সেই সম্মতিও মিলল। বিধানসভা নির্বাচনের প্রদেশ কংগ্রেসকে কৌশল সাজিয়ে দিতে এবং দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে জানুয়ারিতেই বঙ্গে আসতে পারেন রাহুল গান্ধী অথবা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তার আগে জোটে চূড়ান্ত সিলমোহর দলকে টেনশনমুক্ত করল।
[আরও পড়ুন: একইসঙ্গে যক্ষ্মা ও এডস আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে রাজ্যে, উদ্বেগে স্বাস্থ্য দপ্তর]
২০১৬এ রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধেও একসঙ্গে লড়াই করেছিল বাম এবং কংগ্রেস। তবে জোট নয়, কৌশলগত আসন সমঝোতা করে হয়েছিল সেই লড়াই। তাতে কংগ্রেস কিছুটা লাভের মুখ দেখলেও, বামেদের লোকসানই হয়েছিল। তাঁদের আসন সংখ্যা কমেছিল অনেকটা। তবে এবার জোট সমীকরণ বদলাচ্ছে। ফলে তৃণমূল, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লাভের ফসল কে, কতটা ঘরে তুলতে পারে, সেটাই দেখার।
[আরও পড়ুন: নিউটাউনে তরুণী খুনে নয়া মোড়, ‘মারতে চাইনি, বাধ্য হলাম’, হোটেলে মিলল নোট]
এদিকে, এই কংগ্রেস হাইকমান্ডের এই চূড়ান্ত সম্মতির মাঝে ফের বিতর্ক উসকে দিলেন কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো। টুইটারে তিনি জানান যে এই জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরী। তা যদিও মেনে নেয়নি বামেরা। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ প্রসঙ্গ বারবারই আপত্তি জানিয়েছে বাম নেতৃত্ব। আলিমুদ্দিনের দাবি, তাঁরা কোনওদিন কোনও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে সামনে রেখে নির্বাচনে লড়েননি। ফলপ্রকাশের পর শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠক করে ঠিক করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন। ফলে এবারও তার ব্যতিক্রম হওয়ার কোনও জায়গা নেই।