সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাতসকালে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাঠানকোট। সেনাঘাঁটির ত্রিবেণী গেটের পাশেই গ্রেনেড বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহত খবর নেই। তবে বিস্ফোরণের পর থেকেই এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট।
পাঞ্জাবের পাঠানকোট এলাকায় সূর্য একটু দেরিতেই ওঠে। সোমবার সকাল সাতটা নাগাদ সূর্যোদয় হয়। শোনা গিয়েছে, তার অনেক আগেই এই গ্রেনেড বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের শব্দে এলাকায় ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে সেনা ও পুলিশের কর্তারাও আসেন। কীভাবে এই গ্রেনেড বিস্ফোরণ হল, তার তদন্ত শুরু হয়েছে বলেই জানান পাঠানকোটের এসএসপি সুরেন্দ্র লাম্বা। ওই এলাকার সিসিটিভ ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
[আরও পড়ুন: হাত বেঁধে ২ কিশোরীকে পাচারের চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত খোদ ‘সৎ বাবা’, চলত যৌন হেনস্তাও]
২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি এই পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে চলতে থাকা গুলির লড়াইয়ে মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৬ ছিলেন নিরাপত্তারক্ষী। একজন সাধারণ নাগরিকেরও মৃত্যু হয়। নিকেশ হয় ৬ হামলাকারী। সেই হামলার ভয়াবহতা আজও ভুলতে পারেনি ভারতবাসী।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসে পাঠানকোটের বামিয়াল সেক্টরের জৈতপুরের কাছে একটি ড্রোন উড়তে দেখা গিয়েছিল। তা লক্ষ করেই কয়েক রাউন্ড গুলিও চালান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। গুলি চালাতেই ড্রোনটি অদৃশ্য হয়ে যায়। গত জুলাই মাসেও রহস্যজনকভাবে একটি বেলুন উড়তে দেখা গিয়েছে। এমন ঘটনাকে মোটেও হালকাভাবে নেওয়া হচ্ছে বলেই খবর। সোমবারের গ্রেনেড হামলার পর আরও সতর্ক পাঠানকোটের সেনা ও পুলিশ। এর নেপথ্যে নাশকতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।