সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেত্রী পঙ্কজা মুণ্ডের (Pankaja Munde) চিনি কারখানায় হানা দিলেন জিএসটি (GST) আধিকারিকরা। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বীর জেলার ওই চিনি কারখানা অবশ্য বর্তমান বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। সেখানেই বৃহস্পতিবার জিএসটি কারচুপির অভিযোগে অভিযান চালানো হল। বুধবার প্রাক্তন এনসিপি মন্ত্রী ধনঞ্জয় মুন্ডের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক পঙ্কজাকে। পরদিন তাঁর কারখানায় জিএসটি অভিযানে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের প্রশ্ন উঠছি।
প্রয়াত বিজেপি নেতা গোপীনাথ মুন্ডের মেয়ে পঙ্কজা মুন্ডে। বীর জেলার রয়েছে তাঁর বিদ্যানাথ চিনি কল। নেত্রীর দাবি, গত ৬-৭ বছর ধরে লসে চলছিল কারখানা। প্রথমে এলাকায় খরা চলায়, পরে কোভিডের কারণে ক্ষতির মুখে পড়ে ব্যবসা। এক সময় কারখানাটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পঙ্কজা দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা সমবায় মন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) গোটা বিষয়টি তিনি জানিয়েছিলেন। রুগ্ন চিনি কলের পুনরুজ্জীবনের ব্যাপারেও ‘ওপর মহলে’র সঙ্গে কথা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পরপর পাঁচ গুলি, দিল্লিতে পার্টি অফিসেই খুন বিজেপি নেতা]
এরপরেও তাঁর কারখানায় জিএসটি অভিযানে পঙ্কজা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। তিনি হিসেব দিয়েছেন, চিনি কারখানার সব মিলিয়ে ২৫০ কোটি টাকার ঋণ ছিল। ইতিমধ্যে ১৫২ কোটি শোধ করেছেন। পঙ্কজা বলেছেন, ১২ কোটি টাকা জিএসটি দিতে হবে কারখানার তরফে। কোনওভাবেই কর ফাঁকি দেবেন না। আরও জানান, বৃহস্পতিবারের অভিযানের বিষয়ে জিএসিট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের জবাব, উপরমহল থেকে নির্দেশ ছিল। এখনেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন পঙ্কজার অনুগামীরা। তাঁদের বক্তব্য, একটি রুগ্ন চিনি কারখানায় জিএসটি অভিযানের পেছনে কোনও ব্যাখ্যা নেই!
[আরও পড়ুন: পুলওয়ামা কাণ্ডের জন্য দায়ী কেন্দ্রই, হেলিকপ্টার চেয়েও পাননি জওয়ানরা! বিস্ফোরক সত্যপাল মালিক]
উল্লেখ্য, বুধবার প্রাক্তন এনসিপি মন্ত্রী ধনঞ্জয় মুন্ডের সঙ্গে এক মঞ্চে ছিলেন পঙ্কজা। উভয়েই একে অপরের প্রশংসা করেন। কাকতালীয় ভাবে এর ঠিক পরদিন চিন কলে জিএসটি হানায় প্রশ্ন উঠছে।