রমেন দাস: শহর কলকাতার পরিবহণে বাড়তি গতি যোগ করেছে মেট্রোরেল। উত্তর-দক্ষিণ হোক বা পূর্ব-পশ্চিম, নানা দিকে স্রেফ মেট্রো রুটে সংযুক্ত। এখনও কাজ চলছে আরও বেশি রুট সংযোগের জন্য। দমদম থেকে টালিগঞ্জ, যা এখন দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত বিস্তৃত, সেই রুটই এই মুহূর্তে সবচেয়ে ব্যস্ততম। আর সেখানে যাতায়াতের সময় ঘটে যাচ্ছে দুর্ঘটনা। মেট্রোরেলের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। তা রুখতে পদক্ষেপ নিল কলকাতা মেট্রো। কালীঘাট স্টেশনে বসানো হল গার্ডরেল। ৪ ফুট উচ্চতার গার্ডরেল দিয়ে ঘেরা হল স্টেশন, যাতে সহসা কেউ প্ল্যাটফর্ম থেকে স্টেশনে ঝাঁপ দিতে না পারে। মেট্রোর এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন যাত্রীরা। তবে প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ।
গত কয়েকদিনে ব্লু লাইন অর্থাৎ দক্ষিণেশ্বর-কবি সুভাষ রুটের বিভিন্ন স্টেশনে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেট্রো কর্মীদের তৎপরতায় প্রাণরক্ষা হলেও কখনও তা হয় না। সদ্যই ছোট মেয়েকে স্টেশনে রেখে কালীঘাট মেট্রোয় মরণঝাঁপ দিয়েছেন এক মহিলা। এই ঘটনার পর থেকে মেট্রোয় আত্মহত্যা রুখতে বড়সড় পদক্ষেপ নিল কর্তৃপক্ষ। কালীঘাট স্টেশনের ৫ মিটার অন্তর বসানো হয়েছে গার্ডরেল। মেট্রোরেল সূত্রে খবর, ব্লু লাইনের অন্যান্য স্টেশনেও তা বসানো হবে। স্টেশনের দুই প্রান্তে বসছে গার্ডরেল। যাত্রী সুরক্ষার কথা ভেবে এই পদক্ষেপ, বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র।
আসলে শিয়ালদহ-সেক্টর ফাইভ কিংবা সদ্য তৈরি হওয়া মেট্রো স্টেশনগুলিতে অটোমেটিক ক্লোজ ডোর বা স্বয়ংক্রিয় কাচের দরজা রয়েছে। প্ল্যাটফর্মের দুপাশ কাচের দরজা দিয়ে ঘেরা। ট্রেন এলেই সেই দরজাটা খুলে যায়। মেট্রোর দরজা বরাবরই খোলে সেই স্বয়ংক্রিয় দরজা। যার ফলে সেই সময়ে যাত্রীরা সহজে মেট্রোয় উঠতে পারেন, তার পর আবার দরজা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অন্য সময় প্ল্যাটফর্ম থেকে লাইনে ঝাঁপ দেওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু মেট্রোয় প্রায় ৪০ বছরের পুরনো ব্লু লাইনে এধরনের কোনও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেই। এবার গার্ডরেলের মাধ্যমে প্ল্যাটফর্ম ঘেরার ব্যবস্থা করা হল।