সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) নিয়ে বিবিসি-র (BBC) তথ্যচিত্র ঘিরে বিতর্ক পৌঁছল গুজরাট বিধানসভায়। এই তথ্যচিত্রে গোধরা দাঙ্গায় রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদির ভূমিকা নিয়ে তাঁকে কালিমালিপ্ত করা হয়েছে অভিযোগ তুলে শুক্রবার বিধানসভায় একটি নিন্দা প্রস্তাব আনে সরকার পক্ষ। সেখানে প্রায় তিন দশক ধরে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি।
প্রস্তাবটি ধ্বনিভোটে পাশও হয়ে গিয়েছে। সেই প্রস্তাবে বিবিসির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হয়েছে। প্রস্তাবটি পেশ করার সময় মন্ত্রী হর্ষ সাংভি বলেন, “এই তথ্যচিত্র শুধু প্রধানমন্ত্রী মোদির অপমান নয়, এটা ১৩০ কোটি ভারতবাসী সবার অপমান।” এদিন অবশ্য প্রস্তাবটি পাশের সময় কংগ্রেস সদস্যরা অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন না।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীর সমস্যার ‘ভিলেন’ কি নেহরুই? ইতিহাসের গোপন নথি দেয় ‘অন্য’ ইঙ্গিত]
প্রসঙ্গত, জানুয়ারি মাসে বিবিসি-র তরফে একটি তথ্যচিত্র সম্প্রচারিত হয়- ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’। তথ্যচিত্রটি ভারতে দেখা না গেলেও তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ঝড় বয়ে যায়। তথ্যচিত্রটির বিষয়বস্তু ছিল ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা। যেখানে দাঙ্গার সময়ে একজন নেতা এবং মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মোদির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রক এই তথ্যচিত্রকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে চিহ্নিত করে একে ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রতিফলন বলে বিবৃতি দেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওই তথ্যচিত্রের লিঙ্ক মুছে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের তরফে সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবু, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি সেই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের উদ্যোগ নিলে তা নিয়েও বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
এদিন এই প্রস্তাব প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক মনীষা ওয়াকিল বলেন, বিবিসি-র এই তথ্যচিত্রের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি এনজিও গুজরাট এবং ভারতকে কলঙ্কিত করেছে। ২০০২ গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট তার রায় দিয়েছে। সেই সময় বিশেষ তদন্তকারী দল গঠিত হয়েছিল। তারা রাজ্য সরকারকে ক্লিনচিট দিয়েছে।