সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কে গুজরাটের (Gujrat) আহমেদাবাদের (Ahmedabad) ভিএইচ হাসপাতাল। মর্গে রাখা এক বৃদ্ধার মৃতদেহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে চলে গেল অন্য পরিবারের হাতে। এখানেই শেষ নয়, ওই পরিবারটি মৃতদেহটির সৎকারও করে ফেলে। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ছড়িয়েছে বিতর্ক। ইতিমধ্যে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত বৃদ্ধার নাম লেখাবেন চাঁদ। তাঁর ছেলে থাকেন কানাডায় (Canada)। ফলে পরিবারের অন্য সদস্যরা মৃতদেহটি মর্গে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। এরপরই গত ১১ নভেম্বর আমেদাবাদের ভিএইচ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয় মৃতদেহটি। কিন্তু ১৫ নভেম্বর অর্থাৎ রবিবার ওই পরিবারের তরফ থেকে মৃতদেহটি আনতে গিয়েই বিপত্তি বাঁধে। জানা যায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে মৃতদেহ অন্য পরিবারের হাতে চলে গিয়েছে। এমনকী তাঁরা ওই মহিলার সৎকারও করে ফেলেছেন। বদলে তাঁদের দেওয়া হয় অন্য এক ব্যক্তির মৃতদেহ। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন লেখাবেন চাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
[আরও পড়ুন: কতটা শক্তিশালী ব্রহ্মস মিসাইল, এ মাসেই চূড়ান্ত পরীক্ষা নেবে দেশের তিন বাহিনী]
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেখানকার মর্গে নেই কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা। মৃতদেহের রেকর্ডও ঠিক মতো রাখা হয়নি। আর সেকারণেই এই কাণ্ড ঘটেছে।
এই প্রসঙ্গে ওই বৃদ্ধার ছেলে অমিত চাঁদ বলেন, ‘‘আমি মাকে শেষবার দেখার জন্য ৩৬ ঘণ্টা বিমান সফর করে ফিরলাম। কিন্তু এসে কেবল একজন ব্যক্তির মৃতদেহ দেখতে পেলাম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সমস্ত ডকুমেন্টসও হারিয়ে ফেলেছে। শেষ একবার মায়ের হাতটা ধরে কাঁদতে চেয়েছিলাম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভুলে এই কাণ্ড ঘটল। নিজের অসহায়তা কাউকে বোঝাতেই পারছি না।’’ যদিও এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মুখে কুলুপ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তাঁরা জানিয়েছেন, মর্গে রাখা মৃতদেহ বদলে গিয়েছে। যাঁরা অন্য মৃতদেহটি নিয়ে গিয়েছিল, তাঁদের খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ গোটা ঘটনাটির তদন্ত করছে।