সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝুকেগা নহি। বললেন জিগনেশ মেবানি (Jignesh Mevani)। অসম পুলিশের মহিলা কনস্টেবলের শ্লীলতাহানি, হামলার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় শুক্রবার জামিন পাওয়ার পর এমনই প্রতিক্রিয়া ছিল গুজরাটের দলিত বিধায়কের।
[আরও পড়ুন: বিয়ের আসরে রক্তারক্তি কাণ্ড! মালাবদলের পরেই প্রাক্তন প্রেমিকের হাতে খুন নববধূ]
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে আপত্তিকর টুইটের অভিযোগে দায়ের হওয়া এফআইআরের ভিত্তিতে গুজরাট থেকে জিগনেশকে গ্রেপ্তার করে অসম পুলিশ। ২৫ এপ্রিল সেই মামলায় জামিন পাওয়া মাত্রই মহিলা কনস্টেবলের শ্লীলতাহানি মামলায় তাঁকে ফের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অসমের আদালতে জামিন পাওয়ার পর আজ জিগনেশ শাসক বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে ‘মামলা সাজাতে’ একজন মহিলাকে ‘ব্যবহার করেছে’ বলে অভিযোগ করেন। বলেন, আমরা গ্রেপ্তার কোনও মামুলি ব্যাপার নয়। নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের (পিএমও) রাজনৈতিক দাদাদের নির্দেশে তা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যে টুইট ঘিরে এত কাণ্ড, সে ব্যাপারে রীতিমতো বুক ঠুকে জিগনেশের সোজাসাপ্টা দাবি, আমি এখনও ওই টুইটের জন্য গর্বিত। টুইটে আমি মূলতঃ প্রধানমন্ত্রীকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হাঙ্গামার মধ্যে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদনই করেছিলাম। দেশের একজন নাগরিক হিসাবে নিশ্চয়ই শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার দাবি জানানোর অধিকার আমার আছে। একজন আইনপ্রণেতা হিসাবে আমাদের কী কর্তব্য? জনগণকে শান্তি বজায় রাখতে বলা। তাই ঠিক সেটাই আমি করেছি। আর দ্বিতীয় মামলায় ওরা একজন মহিলাকে কাজে লাগিয়ে মামলা সাজাতে গল্প ফেঁদেছে। এই সরকার এমন ভীতু যে আমার বিরুদ্ধে একজন মহিলাকে নামাতে হল!
শাসক বিজেপি চলতি বছরের শেষে নির্ধারিত গুজরাট বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই এত কিছু করছে বলে দাবি করেন জিগনেশ। বলেন, “এটা চক্রান্ত। দলিত সম্প্রদায়, গুজরাটের মানুষ এটা ভাল ভাবে নেবেন না। তাঁরা সব দেখছেন। বিজেপিকে এর দাম দিতে হবে। আমার বিরুদ্ধে রুজু হওয়া দুটি মামলাই অসার, ভুয়ো।” জিগনেশ আরও বলেন, “যে-ই ওদের প্রশ্ন করবে, সত্যের পক্ষে কথা বলবে, তার বিরুদ্ধেই ওরা মামলা সাজাবে। অসমের মানুষ, কংগ্রেস যেভাবে আমায় সমর্থন করেছেন, তাতে আমার বিরাট সুবিধা হয়েছে।”