সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ১৬২/৮ (অভিষেক শর্মা ২৯, আবদুল সামাদ ২৯)
গুজরাট টাইটান্স: ১৬৮/৩ (ডেভিড মিলার ৪৪, সুদর্শন ৪৫)
৭ উইকেটে জয়ী গুজরাট টাইটান্স
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগের ম্যাচে রানের পাহাড় গড়ে ইতিহাস তৈরি করেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (SRH)। কিন্তু গুজরাট টাইটান্সের (GT) বিরুদ্ধে ১৬২ রানেই থেমে গেল ইনিংস। ব্যাট করতে নেমে সহজেই সেই রান তুলে নেয় শুভমান গিলের (Shubman Gill) দল। গুজরাটের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে সাত উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় টাইটান্সরা।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। কিন্তু গুজরাটের পিচে আগের দিনের ফর্মের ধারেকাছে ছিলেন না অরেঞ্জ আর্মির কোনও ব্যাটার। গত ম্যাচের নায়করা কেউই বড় রান পাননি। গত বছর এই মাঠেই বিশ্বকাপ ফাইনালে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন ট্রাভিস হেড। কিন্তু এ দিন মাত্র ১৭ রানে থেমে যায় তাঁর ইনিংস। নুর আহমেদ (৩২/১) আর রশিদ খানের (৩৩/১) স্পিন ঘূর্ণিতে বার বার অস্বস্তিতে পড়ছিলেন অভিষেক শর্মা (২৯), এইডেন মার্করামরা (১৭)। বোলিংয়ে আসল ধাক্কাটা দেন মোহিত শর্মা (২৫/৩)। ম্যাচের শেষ ওভারে পর পর দুবলে দুই উইকেট তুলে হ্যাটট্রিকের সুযোগও এসে যায় তাঁর কাছে। হেনরিক ক্লাসেন (২৪), শাহরাজ আহমেদরা (২২) ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও শেষ পর্যন্ত আবদুল সামাদের (২৯) ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১৬২ রান তোলে হায়দরাবাদ।
[আরও পড়ুন: কয়েক মাসেই শাহিন আফ্রিদিতে মোহভঙ্গ, পাকিস্তানের অধিনায়ক পদে ফিরলেন বাবর]
ব্যাট করতে নেমে ঝোড়ো শুরু করেন ঋদ্ধিমান সাহা (২৫)। কিন্তু তিনি আউট হতেই রানের গতি থমকে যায় গুজরাটের। শুভমান গিল ৩৬ রান করলেও চেনা ছন্দে দেখা যায়নি তাঁকে। তার পর জুটি বাঁধেন সাই সুদর্শন (৪৫) ও ডেভিড মিলার (৪৪)। ধীর গতিতে শুরু করার পর ক্রমে রান বাড়াতে থাকেন তাঁরা। ওয়াশিংটন সুন্দর ও মায়াঙ্ক মারকন্ডের স্পিন বোলিং অনেকক্ষণ বেঁধে রেখেছিল গুজরাটের ব্যাটারদের। সেখান থেকে গুজরাটকে চাপ মুক্ত করেন সুদর্শন। তিনি আউট হওয়ার পর নিজের চেনা ছন্দে ফিরে আসেন ‘কিলার’ মিলার। ৫ বল বাকি থাকতেই ছয় মেরে গুজরাটকে জয়ের সরণিতে ফিরিয়ে আনেন মিলার।