সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও পুরুষকে নয়, গোটা দেশকে চমকে দিয়ে নিজেই নিজেকে বিয়ে করার কথা ঘোষণা করেছেন গুজরাটের (Gujarat) তরুণী ক্ষমা বিন্দু (Kshama Bindu)। আগামী ১১ জুন যাবতীয় রীতি মেনে বিয়ে করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এরপরই তরুণীর অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক দানা বাধে। এবার ক্ষমার এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব এক বিজেপি (BJP) নেত্রী। তার কথায়, এমন সিদ্ধান্ত হিন্দু ধর্ম বিরোধী। এর ফলে হিন্দু জনসংখ্যা কমে যাবে।
দিন দুই আগেই ভদোদরার বাসিন্দা ক্ষমা নিজেকে বিয়ে করার কথা ঘোষণা করেন। ক্ষমার বক্তব্য ছিল, “আমার বিয়ে করার ইচ্ছে ছিল না, কিন্তু কনে হতে চাইতাম। সেই কারণেই নিজেকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিই।” ক্ষমা জানান, আসলে এর অর্থ নিজেকে ভালবাসা। আরও বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া নিজেকে। ক্ষমা বলেন, “লোকে যাকে ভালবাসে তাকে বিয়ে করে। আমি আমাকে ভালবাসি। সেই কারণেই এই বিয়ের সিদ্ধান্ত।”
[আরও পড়ুন: রেস্তরাঁয় খেতে গেলে দিতেই হবে সার্ভিস চার্জ! কেন্দ্রের উদ্যোগের পরেও অনড় মালিক সংগঠন]
ভদোদরার একটি মন্দিরে যাবতীয় রীতি মেনে ১১ জুন বিয়ে করবেন বলে ঘোষণা করেন ক্ষমা। এখানেই আপত্তি বিজেপি নেত্রী সুনীতা শুক্লার (Sunita Shukla)। তিনি বলেন, “বিয়ের স্থান নিয়ে আপত্তি আছে আমার। ওঁকে (ক্ষমা বিন্দুকে) কোনও মন্দিরে বিয়ে করতে দেওয়া হবে না।” নেত্রী আরও বলেন, “এই ধরনের বিয়ে হিন্দু ধর্ম বিরোধী। এর ফলে হিন্দুদের জনসংখ্যা কমে যাবে।” এর আগে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় তথা মন্ত্রী মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতা মিলন্দ দেওরা ক্ষমার সিদ্ধান্ত বিরোধী মন্তব্য করেন। তাঁর কথায়, “এটা সীমা ছাড়ানো পাগলামো। আশা করছি এসব ভারত থেকে দূরে থাকবে।”
[আরও পড়ুন: ভারতে প্রথম মাঙ্কি পক্সের থাবা? উত্তরপ্রদেশের শিশুর শরীরে একাধিক উপসর্গ]
যদিও বছর চব্বিশের তরুণী ক্ষমা এই ঘটনাকে কেবল সাধারণ বিয়ে হিসেবে দেখতে চাইছেন না। তাঁর উদ্দেশ্য ‘নারী ভাবনা’র প্রতিষ্ঠা। একজন নারীকে গুরুত্ব দেওয়া। ব্যক্তি নারীর চাওয়া-পাওয়াকে সম্মান করা। ক্ষমা বলেন, “অনেকের মনে হতে পারে নিজেকে বিয়ে করা আসলে অর্থহীন। কিন্তু আমি যে বার্তা দিতে চাই তা হল ব্যক্তি নারীরও গুরুত্ব রয়েছে।” এই কাজে তার পাশে দাঁড়িয়েছে বাবা-মা, জানিয়েছেন গুজরাটের ব্যতিক্রমী ভাবনার তরুণী। বিয়ের পরে গোয়ায় একা হানিমুনেও যাবেন তিনি।