সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্যোজাত কৃষ্ণকে শকুনি মামার খুনের ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচাতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে তুচ্ছ প্রমাণিত করেছিলেন তাঁর বাবা বাসুদেব৷ কারাগার থেকে সরিয়ে আত্মজকে যশোদা ভবনের নিরাপদ স্থানে রেখে এসেছিলেন৷ গুজরাটের ভাদোদরার বন্যা পরিস্থিতিতে প্রতিফলিত হল মহাকাব্য মহাভারতের সেই ছবি৷ তবে আত্মজ নয়, একেবারেই অপরিচিত একরত্তিকে নিরাপদ আশ্রয়ে ফেরাতে এমনই ঝুঁকি নিলেন এক পুলিশকর্মী৷ গলা পর্যন্ত জলে হেঁটে দুধের শিশুকে প্লাস্টিকের গামলায় নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দিলেন তিনি৷
[আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, আটক মালদ্বীপের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট]
বুধবার সকাল থেকে অনবরত বৃষ্টিতে ভাসছে গুজরাটের ভাদোদরা৷ দুর্গতদের উদ্ধারে তৎপর প্রশাসন৷ পুলিশের তরফে প্রতি মুহূর্তে জলমগ্ন এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে৷ পুলিশ আধিকারিক গোবিন্দ চাভদা খবর পান, দেবীপুরার অবস্থাও অত্যন্ত সঙ্গীন৷ একাধিক বাড়ি জলমগ্ন হয়ে যায় বলেও খবর পান পুলিশ আধিকারিকরা৷ ওই এলাকায় গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, একটি বাড়িতে বছর দেড়েকের মেয়েকে নিয়ে জলমগ্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন এক গৃহবধূ৷ একথা শুনে এক মুহূর্তও সময় নষ্ট করেননি সাব ইনস্পেক্টর গোবিন্দ চাভদা৷ তড়িঘড়ি ওই মহিলার বাড়ির সামনে যান তিনি৷
[আরও পড়ুন: ধর্মীয় ভেদাভেদের চেষ্টা সংবিধান বিরোধী, এই যু্ক্তিতে জোম্যাটোর গ্রাহককে নোটিস]
কিন্তু গলা পর্যন্ত জলে ডোবা অবস্থায় কীভাবে বছর দেড়েকের শিশুকে উদ্ধার করবেন, সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেন৷ কিছুক্ষণ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি৷ এরপর মহিলার কাছ থেকে একটি প্লাস্টিকের গামলা নেন৷ তাতেই একরত্তিকে চাপিয়ে নেন৷ গলা ডোবা জলে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা হাঁটেন ওই পুলিশকর্মী৷ খুদের যদিও তখনও হুঁশ নেই৷ দিব্যি প্লাস্টিকের গামলায় শুয়ে ঘুমোচ্ছে সে৷ এভাবেই অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুকে৷ ইতিমধ্যেই শিশুর মা ওই আশ্রয় শিবিরে চলে আসেন৷ মহিলার কোলে সন্তানকে ফিরিয়ে দেওয়ার পরই নিশ্চিন্ত হন পুলিশকর্মী৷ আপাতত প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন পুলিশকর্মী৷ দুর্গতদের কাছে ইন্সপেক্টর গোবিন্দ চাভদা হয়ে উঠেছেন ‘সুপার হিরো’৷
The post গলা ডোবা জলে গামলা মাথায় একরত্তিকে উদ্ধার, ‘সুপার হিরো’ গুজরাটের পুলিশকর্মী appeared first on Sangbad Pratidin.