সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রচুর বেড। অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। ৬৫ কোটি টাকা খরচ করে মাদার ও চাইল্ড হাব। রোগীদের জন্য কী নেই! কিন্তু বিসমিল্লায় গলদ হলে বিপর্যয় কোন জায়গায় পৌঁছাতে পারে তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল দক্ষিণের এক হাসপাতাল। মণ মণ ঘি ঢালা হলেও অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরে সরকারি হাসপাতালের ওটিতে এমার্জেন্সি এলইডি লাইট রাখা হয়নি।
[জনস্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি, ‘বিষ’ চানাচুর বন্ধে নির্দেশ হাই কোর্টের]
অন্ধ্রে কসমেটিক্স সার্জারির জন্য সবথেকে বড় হাসপাতাল এই গুন্টুর। সেখানেই ঘটল অঘটন। অস্ত্রোপচার চলাকালীন ওটির সমস্ত আলো নিভে যায়। লোডশেডিং যে কাউকে জানিয়ে আসে না। চিকিৎসকদের তখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা। শয্যায় থাকা রোগীর বাকি কাজ কীভাবে হবে তা নিয়ে বেশি না ভেবে মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়েই কাজ শুরু হয়। অপারেশন টেবিলে তখন ছিলেন পালনাডুর বাসিন্দা পি ভেনকাম্মা। ভদ্রলোক গত ৭ ফেব্রুয়ারি পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। তাঁর মাথায় চোট লাগে। ভেনকাম্মার অস্ত্রোপচার চলাকালীন হাসপাতালে আঁধার নেমে আসে। এমন সময় পাশের টেবিলে ছিলেন তারেপল্লি এলাকার বাসিন্দা এম জোশি বাবু। তাঁর ডান হাতেও অস্ত্রোপচার করার কথা ছিল। ওই রোগী জানান অপারেশনের কাজ তখন শেষ পর্যায়ে। এমন সময় বিদ্যুৎ বিপর্যয়। যার ধাক্কায় অর্থোপেডিক সার্জেনের ড্রিল মেশিন বন্ধ হয়ে যায়। অপারশেন থিয়েটারে তখন নিকশ অন্ধকার। এমন পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখেন শল্য চিকিৎসকরা। মোবাইলের টর্চ জ্বেলে কাজ সেরে ফেলেন। প্রায় এক মিনিট অন্ধকারে ছিল গোটা হাসপাতাল। টর্চ জ্বালিয়ে ছুরি, কাঁচি চালানোর ছবি কোনও ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মী তুলে রেখেছিলেন। পরে সেই ভিডিও বেরিয়ে যাওয়ায় দ্রুত ভাইরাল হয়। এমন ভিডিও সামনে আসায় চরম বিড়ম্বনায় গুন্টুর গর্ভমেন্ট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা অবশ্য ভিডিও ফাঁস হওয়ার জন্য চিকিৎসকদের দিকে আঙুল তুলেছে।
[নিউ ইয়র্কের হোটেলে বহাল তবিয়তে নীরব মোদি, ধনকুবেরকে নোটিস ইন্টারপোলের]
ওই হাসপাতালের দীর্ঘদিনের সুনামে এই প্রথম কালির দাগ পড়ল। ১০টি ওটি থাকলেও এমার্জেন্সি আলো ছিল না। তার ফলে কয়েক সেকেন্ডের লোডশেডিংয়ে কার্যত পরিষেবা ভেঙে পড়ে। মোবাইলের টর্চের সামান্য আলোয় এমন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা কতটা ঝুঁকির তা কারও অজানা নয়। ডাক্তাররা নিরুপায় হয়ে কোনওভাবে অপারেশন শেষ করেন। এই নিয়ে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য অপারেশনের সময় কোনও গন্ডগোল হয়ে গেলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত। তখন ডাক্তারদের কেউ ছেড়ে কথা বলতেন না।
[নদী কোনও রাজ্যের সম্পত্তি নয়, কাবেরী ইস্যুতে রায় সুপ্রিম কোর্টের]
The post লোডশেডিংয়ে বিপত্তি, মোবাইলের টর্চের আলোয় সার্জারি এই হাসপাতালে appeared first on Sangbad Pratidin.