স্টাফ রিপোর্টার: গত মরশুমেও তাঁর কাছে ইস্টবেঙ্গল ছিল অন্যতম প্রতিপক্ষ। তবে এবার আর আইএসএল নয়, বরং তিনি কোচিং করাচ্ছেন আই লিগে। ফলে লাল-হলুদকে তিনি দেখছেন অনেকটাই নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে। আর সেই অবস্থান থেকেই তাঁর বার্তা, ডার্বিকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া বন্ধ করুক ইস্টবেঙ্গল। বক্তার নাম আন্তোনিও লোপেজ হাবাস।
স্প্যানিশ কোচের ক্ষুরধার মস্তিষ্ক নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই ভারতীয় ফুটবল মহলের। আইএসএলের সফলতম কোচকে হাতের কাছে পেয়ে প্রশ্নটা করা হয়েছিল, কী সমস্যা হচ্ছে লাল-হলুদের? বিন্দুমাত্র না ভেবে হাবাসের জবাব, “ইস্টবেঙ্গলকে বুঝতে হবে, ডার্বিটাই সব নয়। আমি ডার্বির গুরুত্ব জানি। তারপরও বলব, এই ম্যাচ থেকে সর্বোচ্চ তিন পয়েন্টই পাওয়া যায়। মোহনবাগান ছাড়া বাকি আরও ক্লাব রয়েছে। মুম্বই সিটি এফসি, ওড়িশা এফসি, কেরালা ব্লাস্টার্স, হায়দরাবাদ এফসি। সেই সব ম্যাচ থেকেও তো তিন পয়েন্ট পাওয়া যায়। ওই সব প্রতিপক্ষকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে।” লাল-হলুদের ব্যর্থতার পিছনে মাঠে নেতৃত্ব দেওয়ার লোক না থাকাকে কারণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন প্রাক্তনীদের অনেকেই। সে প্রসঙ্গে হাবাসের বক্তব্য, “নেতা তৈরি করা যায় না। দলের মধ্যে থেকেই নেতৃত্ব দেওয়ার লোক উঠে আসে। ইস্টবেঙ্গলে যে নেতৃত্ব দিতে পারত, সেই ক্লেটন সিলভা ফর্মে নেই। এটাও ওদের ব্যর্থতার একটা কারণ।”
ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো অবশ্য দলকে সাফল্যের পথে ফেরাতে মরিয়া। টানা আট ম্যাচ হারার পর সেই ‘ধারাবাহিক’ পারফরম্যান্সে দাঁড়ি টেনেছে লাল-হলুদ। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে পারো এফসি-র সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে একটা পয়েন্ট পেয়েছে তারা। শেষ আড়াই মাসে এটাই ইস্টবেঙ্গলের প্রথম পয়েন্ট। তবে সেই ম্যাচেও ডিফেন্সের ভুলভ্রান্তি এবং ফরোয়ার্ডদের গোল নষ্টের প্রদর্শনী চাপ বাড়াবে লাল-হলুদ কোচের। বিশেষত দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকসের গোলের আগে লাল-হলুদ ডিফেন্স এতটাই চাপে ছিল যে পরপর হলুদ কার্ড দেখেন ডিফেন্ডার–হিজাজি মাহের, আনোয়ার আলি এবং লালচুংনুঙ্গা। রবিবার সকালে থিম্পু শহরের থেকে কিছুটা দূরে আরটিসি গ্রাউন্ডে ঘণ্টা দেড়েকের অনুশীলনে সেসব সমস্যা মেটানোর উপরই জোর দেন অস্কার।
পারোর বিরুদ্ধে খেলা ফুটবলাররা মূলত রিকভারি সারেন। বাকি ফুটবলারদের দু’দলে ভাগ করে ম্যাচ খেলান কোচ। সেই ম্যাচে সিনিয়র দলের ফুটবলার দায়িত্বে ছিলেন হেড কোচই। আর দলের সঙ্গে যাওয়া রিজার্ভ স্কোয়াডের ফুটবলাররা খেলেন সহকারী কোচ বিনো জর্জের তত্ত্বাবধানে। মঙ্গলবার গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ বসুন্ধরা কিংস। বাংলাদেশের এই ক্লাবকে গত ছয় বছর কোচিং করিয়েছেন অস্কার। শনিবার রাতে লেবাননের নেজমেহ এফসি-র বিরুদ্ধে বসুন্ধরার ম্যাচ দেখতে মাঠে উপস্থিতও ছিলেন তিনি। সহকারী কোচ বিনো, ফুটবলার হিজাজিকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে পরের দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষকে মেপে আসেন অস্কার।